ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করুন ঘরে বসে

আপনারা যারা এখন পর্যন্ত ভোটার আইডি কার্ড করতে পারেননি অথচ ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন যাতে সবার সব ক্ষেত্রেই। তারা খুব সহজেই বর্তমানে ভোটার তথ্য হালনাগাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে পারবেন। ২০ মে ২০২২ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।  এই সুযোগে যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে বা কিছুটা কম রয়েছে তারা ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে ঘরে বসে।

ভোটার আইডি কার্ড হালনাগাদ ভোটার তথ্য হালনাগাদ কর্মসূচি চলবে চারটি ধাপে অর্থাৎ প্রথম ধাপে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে গত 20 মে জা চলবে 9 জুন পর্যন্ত।  পরবর্তীতে এই সমস্ত সংগ্রহ কৃত তথ্য নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে 10 ই জুন থেকে।  উক্ত ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারদের নাম বাতিল করার কার্যক্রম চলবে।  তাই আপনার যদি 18 বছর পূর্ণ হয়  বা আপনি যদি 18 বছরের উর্ধ্বে হন তাহলে খুব সহজেই ঘরে বসেই আপনি আপনার আইডি কার্ডটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন অনায়াসে। আর ভোটার নিবন্ধন হওয়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার স্মার্ট কার্ড টি হাতে নিতে পারবেন। 

প্রথম ধাপে 139 টি উপজেলায় ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে।  জেলা-উপজেলা গুলোর তালিকা এবং তারিখসমূহ দেখুন এখান থেকে

কাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে?

  • যাদের  জন্ম 2007 সাল বা তার পূর্বে
  • যারা বিগত ভোটার তথ্য হালনাগাদ কর্মসূচিতে ভোটার হতে পারেননি।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ  একাধিকবার  ভোটার হওয়া হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।  তাই আপনারা যারা পূর্বে ভোটার আইডি কার্ড করেছেন কিন্তু ভোটারাধিকার যদি হারিয়ে থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ভোটার আইডি কার্ড টি সংগ্রহ করতে পারবেন জরিমানা প্রদানের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভোটার তথ্য হালনাগাদ কর্মসূচিতে  প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড ভিত্তিক কার্যক্রম চলবে।  প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা ব্যক্তি থাকবেন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য।  এ সময়ে সেই সমস্ত ব্যক্তিগণ স্ব স্ব ওয়ারডে  গিয়ে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং ভোটার  নিবন্ধন ফরম ২ পূরণ করতে বলবেন।

ভোটার হতে সব কাগজপত্র লাগবে

  1. ভোটার হতে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ফটোকপি দরকার পড়বে এটি বাধ্যতামূলক।
  2. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি।  এটি অপশনাল
  3. পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। ( যদি না থাকে তাহলে অভিভাবকের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি)
  4. বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  5. প্রবাসী হলে পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  6. বিদ্যুৎ বিল এর ফটোকপি অথবা ট্যাগ সার্টিফিকেটের ফটোকপি
  7. রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা সনদ।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ব্যক্তিবর্গ ভোটার নিবন্ধন ফরম 2 এর সাথে আপনার  ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করে নির্ধারিত কার্যালয়ে জমা  করবে।  পরবর্তীতে  একটি নির্ধারিত তারিখে আপনাকে স্ব স্ব  নিবন্ধন কার্যালয়  উপস্থিত হয়ে ছবি তুলতে হবে, বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন,  চোখের প্রতিচ্ছবি প্রদান করতে হবে।

ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ

সাধারণভাবে ভোটার তথ্য হালনাগাদ কর্মসূচির পরবর্তী বছর জানুয়ারি মাসে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রকাশ করে অনলাইনের মাধ্যমে.। এ সময়ে  সবার ভোটার তালিকা প্রকাশ  না করলেও যাদের বয়স 18 বছর পূর্ণ হয়েছে একমাত্র তাদের এই ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।  ধাপে ধাপে যাদের বয়স 18 বছর পূর্ণ হবে তাদের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।  দেখে নিন কাদের  ভোটার তালিকা তালিকা কখন প্রকাশ করা হবে

  • যাদের জন্ম ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের  ভোটার ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৩ সালের ২ মার্চ৷
  • যাদের জন্ম ২০০৬  সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের  ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৪ সালের ২ মার্চ৷
  • যাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের  চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা করা হবে ২০২৫ সালের ২ মার্চ৷

আপনার ভোটার আইডি কার্ড হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন

আপনি যখন ভোটার তথ্য হালনাগাদ কর্মসূচি  তে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করবেন তার ছয় মাস পরে আপনার ভোটার তালিকা প্রকাশ পেতে পারে যদি আপনার বয়স 18 পরিপূর্ণ হয়। যদি আপনার ভোটার তালিকার নাম এসে থাকে তাহলে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন অনলাইন কপি।  আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি হয়েছে কিনা আপনার মোবাইলের এসএমএস এর এর মাধ্যমে জানতে পারবেন। আমাদের এই পোস্টটি পড়ে জানতে পারবেন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি কিভাবে ডাউনলোড করতে হয়। 

স্মার্ট কার্ড কবে পাবেন

2019 সাল থেকে নতুন নিবন্ধিত সকল ভোটারদের কেই স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়েছে।  এক্ষেত্রে তখন যাদের বয়স 18 বছর পূর্ণ হয়েছিলো একমাত্র তাদেরকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়েছিল। তো সেই বরাবর অনুযায়ী আপনার বয়স যদি 18 বছর পূর্ণ হয় এবং আপনার নাম যদি ভোটার তালিকা প্রকাশ পায় তাহলে আপনি স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।  যদিও  আস্তে আস্তে সবাই স্মার্ট কার্ড পাবে তবে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে পারেন। আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা সেটি জানতে পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে।

সাধারণভাবে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য মিনিমাম ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়।  অর্থাৎ আপনার যখন ভোটার তালিকা প্রকাশ পাবে তার থেকে পরবর্তী ছয় মাস পরে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে।  আর স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করার সময় অবশ্যই আপনাদেরকে ভোটার নিবন্ধন স্লিপ সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।  ভোটার নিবন্ধন স্লিপ করে না নিয়ে গেলে আপনি স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন না।  এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড ভিত্তিক কার্যালয়ে প্রদান করা হবে।

ভোটার আইডি কার্ড করুন অনলাইনে

যদি কোনো কারণবশত ভোটার তথ্য হালনাগাদ কর্মসূচিতে ভোটার হতে না পারেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করতে পারবেন।  আর এই জন্য ওয়েবসাইট প্রবেশ করে রেজিস্টার করতে হবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে।  যেমন আপনার জন্ম নিবন্ধন এ থাকা আপনার নাম,  জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার এনআইডি নাম্বার ইত্যাদি।  এরপরে ভোটার  নিবন্ধন ফরম পূরণ হওয়ার পরে সেটি আপনার পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে সাথে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো সংযুক্ত করে নির্বাচন অফিসে জমা প্রদান করতে হবে। এরপরে আপনার ছবি তোলা হবে এবং আপনার বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করার পরে এক সপ্তার মধ্যে আপনার আইডি কার্ডটি অনলাইনে পাওয়া যাবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *