হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল- লেখা সুন্দর করার টিপস

হাতের লেখার কৌশল নিয়ে আমাদের মনে অনেক সময় অনেকটা বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন আসে । লেখা সুন্দর করার টিপস ও খুজে থাকি। অনেকটা সময় মনে হয় কেন আমাদের হাতের লেখা সুন্দর নয়? হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। যদিও হাতের লেখার উপর অতিরিক্ত কোন মার্কস নেই তবুও সুন্দর হাতের লেখা শিক্ষকদের মন কাড়ে। শিক্ষকদের এটা মনে হলে তাদের মনের ভেতর একটা বিশ্বস্ত আসে এই ছাত্র বা ছাত্রী টি হয়তো ভালো স্টুডেন্ট, আর এই কারনেই অনেক শিক্ষার্থীর হাতে লেখার কারণে নাম্বারটা স্যার একটু বাড়িয়ে দিয়ে থাকে।

আমাদের দেশের অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন, যারা খাতা পুরোপুরি না দেখেই হাতের লেখার উপর মার্কস প্রদান করেন। এটা অপ্রিয় হলেও অনেকটা সত্যি কথা। ভালো ফলাফল পেতে , বন্ধুদের ভেতর থেকে বাহবা পেতে  হাতের লেখা সুন্দর করার জুড়ি নেই। তো হাতের লেখা কিভাবে সুন্দর করা যায় বা হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

 হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

পছন্দের হাতের লেখা সিলেকশ

যে কারো হাতের লেখা শেখা যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রেই সম্ভব। এর ভিতর থেকে যে হাতের লেখা গুলো সবচাইতে বেশি মন কারে,  সেই হাতের লেখা গুলো খুবই দ্রুত শেখা সম্ভব। কারণ সেটার জন্য মনের ভেতর একটি আনন্দ ও সন্তুষ্টি অনুভূত হয়। সহপাঠী এমন একজনকে আমাদের সিলেকশন করতে হবে যার হাতের লেখা দৃষ্টান্ত সুন্দর এবং সাবলীল যার হাতের লেখা সবার মন কারে। এবং যার হাতের লেখা শিখতে বললে তুমি ধন্য মনে করবে। 

দাগ টানা খাতায় লেখা

দাগ টানা খাতা বলতে আমরা বাংলা টানা হাতের লেখা যে খাতা গুলো আছে সেগুলোর কথা প্রায় ক্ষেত্রেই বুঝি। অনেক নোট  প্যাড এবং ডায়েরিতে  দাগ টানা থাকে সে ক্ষেত্রে সেই খাতাগুলো বাজার থেকে কিনে সংগ্রহ করতে হবে। এরপর সেই খাতায় যার হাতের লেখা সিলেকশন করেছ প্রথম টিপছে তার থেকে অ থেকে ঔ এবং  ক থেকে চন্দ্রবিন্দু  পর্যন্ত লিখে নাও। ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করতে হলে ইংরেজি প্রত্যেকটা বর্ণ আলাদা আলাদা করে লিখে নাও। এরপরে সেটার কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখ। এরপরে তোমার বন্ধুর লেখা হাত লেখার উপর ওভাররাইটিং করো। নিয়মিত এই প্র্যাকটিস করতে থাকো।যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই লেখাটা তোমার পুরোপুরি আয়ত্তে না আসে। 

অক্ষর গুলো আয়ত্তে আসলে এর পরে তোমার বন্ধুর থেকে কিছু বাক্য লিখে নাও খাতায়। যেমন “ আমার সোনার বাংলা,  আমি তোমায় ভালোবাসি” এরপর সেই বাক্যগুলো তার লেখার উপর ওভাররাইটিং করো  এবং নিয়মিত প্র্যাকটিস করো। এর পরে সেগুলো আয়ত্তে আসলেই নতুন একটি খাতায় সেগুলো নিজে নিজে লেখার চেষ্টা করো। 

হাতের লেখার উপর আলাদা করে এ সময় দেওয়া

হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য তোমাকে একটি নির্দিষ্ট সময় বের করে রাখতে হবে।  আর সেই সময়ে তোমাকে হাতের লেখার উপর নিয়মিত চর্চা করতে হবে।  আর সেই সময়টিতে তুমি অন্য কোন কাজে মন দিতে পারবেনা। তোমার মনোযোগ সবসময় তোমার লেখা সুন্দর করার কৌশল এর উপর  অটল রাখতে হবে। ধরো তুমি বিকেলের  তাই মেয়ে যখন খেলাধুলা করবে,  তারপরে এক ঘন্টা বা 2 ঘণ্টার মত হাতের লেখার উপর সময় দেবে এবং  সপ্তাহে 7 দিন এই কাজটি করে যেতে হবে।

হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন

হাতের লেখা সুন্দর করার এক অন্যতম কৌশল হলো হাতের লেখা নিয়মিত অনুশীলন করা। হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য কোন ট্যালেন্ট এর দরকার হয় না, একটু সময় এবং ধৈর্য নিয়ে নিয়মিত প্রাকটিস বা চর্চা করলে হাতের লেখা সুন্দর  করা একদম সহজ হয়ে যায়। যত বেশি প্র্যাকটিস্ করবে তত বেশি যে কোন বিষয়ে তোমার কাছে হাতের লেখা সুন্দর করা সহজ হয়ে পড়বে। এবং খুব সহজেই যেকোনো বিষয় তুমি আয়ত্ত করে ফেলতে পারবে। আর তাই হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য এই কৌশলটি সবসময় মাথায় রাখবে।  এই কৌশলটি ব্যবহার করার পূর্বে  যে কৌশল দুটির কথা বলা  হয়েছে, সেগুলো বাধ্যতামূলক করতে হবে।

যদি কোন কারনে খানিকটা অধৈর্য হয়ে পড়ো,  তাহলে গান শুনতে পারো অথবা একটু সময় বিশ্রাম নিতে পারো। মনের বিরুদ্ধে কখনো কোন কিছু করা উচিত নয়।  আগে লেখার পূর্বে মনকে সায় দিতে হবে।  তবে খেয়াল রাখো, যেভাবে তুমি প্যাকটিস করতেছো বা যেভাবে শিখতেছো, ক্লাসরুমে বা কোচিংয়ে  একই স্টাইলে লেখার চেষ্টা করো। হোক সেটা বাজারের লিস্ট,  বা প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় যেকোনো লেখা।  এতে করে তোমার নতুন লেখার উপর একটি অভ্যাস গড়ে উঠবে।

হাতের লেখা সুন্দর করার কোর্স করুন- বাচ্চাদের হাতের লেখার কোর্স করান

 হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশলমান সম্মতভাবে হাতের লেখা লেখার  অভ্যাস গড়ে তুলতে নিয়মিত আপনাকে লেখার চর্চা করতে হবে।  যদি কোন কারনে আপনার অলস লাগে তাহলে নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস করতে পারেন।  এতে করে আপনার অলস সময় টা অনলাইন ক্লাসে কেটে যাবে এবং আপনার আগ্রহ থাকবে হাতের লেখা সুন্দর করার প্রতি। আর আপনি যদি হাতের লেখা সুন্দর কারো প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে হাতের লেখা সুন্দর করার বই  একটি কোর্স করতে পা্রেন।  এই কোর্সটি নিয়ে এলো রবি টেন মিনিট স্কুল। Robi 10 Minutes School । আর আমরা অবশ্যই রবি টেন মিনিট স্কুল সম্পর্কে পূর্ব থেকেই অবহিত। কোর্সটি ক্রয় করার জন্য জন্য নিচের প্রদত্ত লিংকে ক্লিক করুন। Join Hand Writing Bangla  Course By Robi 10 Minutes School  

 

আরো জানুনঃ ঘরে বসে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়

হাতের লেখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সাথে রাখুন

একেক মানুষের একেক রকমের রুচি বা ভিন্নতা।  তুমি আসলে কোন কলম দিয়ে লিখতে চাও বা কোন পেন্সিল দিয়ে লিখতে চাও সেটা তোমার উপর নির্ভর করবে।  তবে আপনার যে নিয়মিত অভ্যাস লেখার আপনি সেই কলম দিয়ে লেখার চেষ্টা করবেন।  এবং সেই কলমগুলো লেখার পূর্বেই আপনার কাছে সংগ্রহ করে রাখবেন বেশি করে।  তবে জেনে রাখা ভালো রাখার জন্য এমন একটি কলম বা পেন্সিল ব্যবহার করা উচিত যেটি খুব সহজেই স্মুথ ভাবে খাতার সাথে চলতে পারবে।  এক্ষেত্রে বলপেন গুলো ব্যবহার করা উত্তম। যে কলমগুলোা আপনার হাতের আঙুলের সাথে সহজেই পারফেক্ট ভাবে ম্যাচ করবে সেই কলম বা পেন্সিল আপনি ব্যবহার করবেন।

হাত, কব্জি এবং কনুই নমনীয় রাখা

লেখার সময় আপনি যে খাতায় লিখেন না কেন,  খাতার ওপর হামলা হাত এমন ভাবে রাখার চেষ্টা করবেন যাতে আপনার কোনো থেকে হাতের উপর অতিরিক্ত কোন প্রেসার না পড়ে।  কারণ হাতের উপর যদি প্রেসার বেশি পড়ে তাহলে আপনার লেখার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং লেখা খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কলমের উপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া বর্জন করুন। 

আমরা অনেকেই আছি যারা লেখার সময় অতিরিক্ত ঠেসে লিখি। কিসের লেখা আমাদের মোটেই উচিত নয়।  খাতার উপর হালকা  করে কলম ধরে স্মুথ ভাবে লেখা উচিত ।এতে করে লেখা দ্রুত হয় এবং লেখার মান ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

সঠিকভাবে কলম ধরুন

সঠিকভাবে কলম না ধরতে পারলেই আপনার হাতে হাতের লেখা কখনোই সুন্দর হবে না।  আর হাতের লেখা সুন্দর না হওয়ার  পেছনে সঠিক কারণ হলো সঠিকভাবে কলম না ধরা। আর পরীক্ষার খাতায় বা অন্য কোনো যেকোনো স্থানে লেখার সময় সঠিকভাবে কলম না ধরার কারণে  হালকা দ্রুত লেখা সম্ভব হয় না। তবুও কলম ধরার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সকলকে জানানো উচিত। কেননা কলম ধরার উপর কিছু কৌশল জানলে হাতের লেখা সুন্দর করা সহজ হয়। সাথে লেখার সময় হাত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

যদিও ছোটবেলা থেকেই  আপনি যেই ভাবে কলম ধরার অভ্যাস তৈরি করেছেন সেটি পরিবর্তন করা এবং অন্যভাবে কলম ধরার অভ্যাস তৈরি করা আপনার কাছে অনেকটা বিরক্ত কর মনে হবে।  তবুও হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল জানতে হলে আপনাকে কলম ধরার কৌশল টাকে ভালো করে শিখতে হবে এবং আপনার কলম ধরার অভ্যাসটা পরিবর্তন করতে হবে। কিভাবে সুন্দর করে কলম ধরতে হয় সেই বিষয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে। 

দ্রুত লেখার অভ্যাস বর্জন করুন

কথায় আছে কোনকিছুই অতিরিক্ত দ্রুত করা উচিত নয়, এতে ভবিষ্যতে পস্তাতে হয়।  ঠিক তেমনি হাতের লেখা লিখতে কখনোই দ্রুত চেষ্টা করা উচিত নয়।  দ্রুত লিখতে গেলে গেলেই যে কোন লেখাই খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দ্রুত লেখার চেষ্টা না করে সময় নিয়ে আস্তে আস্তে করে মনোযোগ সহকারে লেখার চেষ্টা করো।  যদি হাতে সময় কম থাকে লেখার সেই ক্ষেত্রে নমনীয়তা বজায় রেখে একই স্টাইলে সামান্য দ্রুত লেখার চেষ্টা করো।  তবে অভ্যাসটা এবং করা উচিত নয় যে পরীক্ষার খাতায় আস্তে আস্তে লিখতে লিখতে  সব প্রশ্নের উত্তরগুলো দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

উপযুক্ত স্থানে লিখুন 

আপনি যখন লেখার চর্চা করবেন অথবা যে কোন লেখা লিখবেন সেই সময় আপনাকে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে,  আপনি যে পেপারের উপর লিখছেন সেই পেপার নিচে শক্ত কোন বস্তু আছে কিনা।  যদি থাকে তাহলে সেটি সরিয়ে কোন হার্ডবোর্ড অথবা কোন পেপার বসিয়ে দেবেন এতে করে হাতের লেখা স্মুথ হবে এবং সুন্দর হবে।

হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল করা নিয়ে শেষ কথা

আপনি যদি হাতের লেখা সুন্দর করতে চান এবং হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল সম্পূর্ণ আয়ত্ত করতে চান তাহলে উপরের টিপসগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং নিয়মিত ঘরে বসে চেষ্টা করুন  যে টিপস গুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো আয়ত্ত করার।  হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য আপনাকে নিজেকে নিয়মিত লেখার উপরে অভ্যস্ত তুলতে হবে।  যত বেশি পারবেন লেখালেখি করবেন ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *