ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার নিয়ম

আমাদের বাংলাদেশী পণ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওয়ালটন কোম্পানি। এখন থেকে ওয়ালটন ব্যবহারকারীরা চাইলে কিস্তিতে মোবাইল ফোন নিতে পারবেন। এই লেখাটিতে ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ না থাকে এবং আপনার ইমারজেন্সি মোবাইল ফোন ক্রয় এর প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনার জন্য আছে ওয়ালটন। তথা ওয়ালটন আপনাকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কেনারের সুবিধা দিচ্ছে।

আপনার চাহিদা অনুযায়ী বা প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়ালটন ব্র্যান্ডের যে কোন মোবাইল ফোন কিস্তিতে ক্রয় করতে পারবেন। তবে এজন্য অবশ্যই আপনাকে ওয়ালটন কোম্পানির শর্ত মেনে নিতে হবে। চলুন আজকের লেখাটির মূল আলোচনা শুরু করি।

ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার নিয়ম

ওয়ালটন ব্র্যান্ডের মোবাইল কিস্তিতে কেনার জন্য প্রথমে আপনার নিকটস্থ Walton প্লাজায় উপস্থিত হয়ে ম্যানেজারের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করুন। তারপরে ম্যানেজার আপনার থেকে কিছু তথ্য জানতে চাইবে এবং একটি ফর্ম দিবে, সঠিক তথ্য প্রদান করে ফর্মটি প্রদান করুন।

ফরমের পাশাপাশি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে। Walton মোবাইল কিস্তিতে কেনার জন্য কি কি ধরনের ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা জানতে ওয়ালটনের হট লাইন নাম্বারে (১৬২৬৭ বা ০৯৬১২৩১৬২৬৭) যোগাযোগ করতে পারেন।

তাছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিন ও দিবস অনুযায়ী, ওয়ালটন ব্র্যান্ড তাদের গ্রাহকদের জন্য দারুন সব অফার নিয়ে আসে। তাদের এই অফার সম্পর্কে জানতে ওয়ালটনের ফেসবুক পেজের সাথে যুক্ত থাকুন। ওয়ালটনের ফেসবুক পেজ খুঁজে পেতে, ফেসবুকে সার্চ করুন Walton Mobile লিখে।

Walton মোবাইলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ফলো দিয়ে রাখলে, সকল ধরনের অফার ও ডিসকাউন্ট সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারবেন। অথবা আপনারা চাইলে নিকটস্থ ওয়ালটন প্লাজা / আউটলেটে গিয়ে এগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল নেওয়ার শর্তাবলী ও ডকুমেন্টস

আপনি যদি ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু শর্তাবলী জানা প্রয়োজন। এবং ওয়ালটন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন কিস্তিতে নেওয়ার জন্য এই শর্তাগুলির সাথে আপনাকে একমত পোষণ করতে হবে।

  1. প্রথমে নগদ ৪০% টাকা পেমেন্ট করতে হবে এবং বাকি ৬০% টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
  2. কিস্তিতে মোবাইল ফোন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক চিন্তাধারার মানুষ হতে হবে।
  3. আপনার ২ কপি সদ্য তোলা ছবি প্রয়োজন হবে।
  4. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন।
  5. ২জন গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে।
  6. গ্যারান্টারদের ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন।
  7. ১০,০০০ টাকা বা তার অধিক মূল্যের মোবাইল ফোনে লোন নেওয়ার সুবিধা পাবেন।
  8. ওয়ালটন কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত টার্মস এন্ড কন্ডিশন এর সাথে একমত পোষণ করতে হবে।
  9. ওয়াল্টন প্লাজা থেকে প্রদত্ত ফর্ম সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।
  10. ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার চাইলেই আপনাকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন দেয়া হবে।

যেকোনো কারণবশত ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার চাইলেই আপনার আবেদনটি বাতিল করতে পারবে। তাছাড়া আপনার কোন তথ্য যদি ভুল থাকে এবং সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার আবেদনটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

সাধারণত ওয়ালটন কোম্পানির যে সকল মোবাইল ফোনগুলোর দাম ১০ হাজার টাকার উর্ধ্বে, ঐ সকল মোবাইল ফোন গুলো কিস্তিতে গ্রহণ করতে পারবেন। ১০ হাজার টাকার নিম্নের দামের মোবাইল ফোন গুলো কিস্তিতে প্রদান করা হয় না।

কত বছর কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল ফোন নিতে পারবেন

সাধারণত Walton ব্র্যান্ডের সকল পণ্য সর্বনিন্ম ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত নিতে পারবেন। আপনার চাহিদা অনুযায়ী এবং প্রোডাক্টের দামের উপর নির্ভর করে লোনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত ব্যবহারকারীরা ১ বছরের কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল ক্রয় করে।

শেষকথা

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আশা করি ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বর্তমানে পুরো বাংলাদেশে ৩৫০ টির বেশি ওয়ালটন প্লাজা আছে, যেখান থেকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের মোবাইল ফোনটি কিস্তিতে ক্রয় করতে পারবেন।

Walton মোবাইল ফোনের পাশাপাশি এসি, কম্পিউটার, মোটরসাইকেল, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার ও  রেফ্রিজারেটর সহ আরো অনেক ধরনের পণ্য রয়েছে যেগুলো আপনারা কিস্তিতে ক্রয় করতে পারবেন। আপনার কাছে ওয়ালটনের এই সুবিধাটি কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *