অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ( সেরা ১০ টি )
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় আমরা অনেকেই খুঁজে থাকি। এমনকি অনেক প্রচেষ্ঠা করার পরেও আমরা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুজে বের করতে ব্যর্থ হই। এর প্রধান একটা কারণ হতে পারে ভুল পদ্ধতিতে অনলাইনে আয় করার প্রচেষ্টা এবং দক্ষতার অভাব এবং উপায় খোজার ভুল পদ্ধতি ।
গুগলের প্রায় প্রতি মাসে 20 হাজারেরও বেশি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে সার্চ করা হয়, কিন্তু যথেষ্ট তথ্য এবং সঠিকভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় বা পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয় না যার কারণে সেই সমস্ত আর্টিকেল বা সেইসব অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সমূহ আয়ত্ত করা সত্ত্বেও আমরা ইনকাম করতে ব্যর্থ হই।
এটার অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন অনেকে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন টাকা নিতে চায়, কিন্তু কোন কাজ বা দক্ষতা ছাড়া অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুঁজে বের করা একদম অসম্ভব ।আর তাই অনলাইনে ইনকাম করতে হলে আপনাকে আগে অনলাইন সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা থাকা লাগবে ইচ্ছাশক্তি, ধৈর্য এবং কাজের উপর দক্ষ হওয়া লাগবে।
সহজ ভাবে অনলাইনে ডলার ইনকাম করার উপায় নিচে তুলে ধরা হবে, যেসব কাজের ধরন জানা থাকলে অনায়াসে প্রতি মাসে 30 থেকে 40 হাজার টাকা ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
এই পোস্টের সার সংক্ষেপ
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়। অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়
অনলাইনে ইনকামের পথ সম্পর্কিত অনেকটাই অনেকের কাছ থেকে শুনে এসেছেন। তবে সত্যিকার এর মাধ্যমে আয় করতে পেরেছেন? সত্যি বলতে আপনার যদি একটু আইটি সেক্টর সম্পর্কে ধারনা থাকে তাহলে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে কাজ করে প্রতিদিন গড়ে $20-$30 ডলার অব্দি ইনকাম করতে পারবেন.
তবে এতটা ইনকাম করাটা সহজ নয় এবং রাতারাতি দ্রুত অনলাইন ইনকাম করার উপায় নেই। নতুন অবস্থায় যারাই অনলাইন জগতে প্রবেশ করে তাদের একটাই উদ্দেশ্য থাকে সেটা হল অল্প সময় কাজ করে অধিক পরিমাণে ইনকাম। কিন্তু নতুন অবস্থাতে কোনরকমে এটি করা সম্ভব হবে না।
তবে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার ব্যাপারটা একেবারেই অসম্ভব তা কিন্তু না, আপনি যদি অনলাইনে একটা কাজের উপর অটল থাকতে পারেন ওই কাজটি সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করে ফেলতে পারেন তাহলে অনলাইন থেকে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে আসলে কি কাজ করবেন? এটা আপনাকে সিলেক্ট করে নিতে হবে। যে কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ বেশি আপনার সেই কাজটি শেখা এবং করা উচিত। নিচে বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় বা কয়েকটি কাজের ধরন বলা হলো যার একটি কাজ করতে থাকলে আপনি মাসে $2000 ডলার অব্দি ইনকাম করতে পারবেন ঘরে বসে।
ব্লগিং হলো অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
ব্লগিং করে আপনি প্রতি মাসে $1000 থেকে $2000 হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং করতে হলে আপনার একটি ব্লগ সাইটের দরকার পড়বে।যেটি আপনি নিজেই তৈরি করতে পারবেন অথবা কাউকে দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন।
ব্লগিং পেশাটা একদম নতুন নয়। প্রায় 10 থেকে 12 বছর পূর্বে থেকে ব্লগিংয়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয় আমরা ইন্টারনেটে যা দেখি বা যেসব তথ্য নিয়ে সার্চ করি এবং যেসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি সে সমস্ত সাইটের মধ্যে অধিকাংশ হল ব্লগিং সাইট । ব্লগিং হল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার লিখিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা। আপনি যদি লেখালেখিতে অভ্যস্ত বা আগ্রহী হন তাহলে ব্লগিং করা নিঃসন্দেহে আপনার জন্য দারুণ সুযোগ বয়ে আনবে।
ব্লগিং করতে হলে আপনার কয়েকটা বিষয় অতীব জ্ঞান থাকতে হবে যেমন ওয়েবসাইট কি? গুগোল কি? সার্চ ইঞ্জিন কি? এবং ডোমেইন ও হোস্টিং কি? যদিও একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে ডোমেইন এবং হোস্টিং এর দরকার পড়বে তাই ডোমেইন এবং হোস্টিং সম্পর্কে পূর্ণ গাইডলাইন আপনাকে জানতে হবে।
ব্লগিংয়ের মূলত ইনকাম আসে বিজ্ঞাপন থেকে যেমন গুগল এডসেন্স, তাছাড়া এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে অধিক পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব। এর সাথে আপনি আপনার লোকাল কোন কোম্পানি থেকে তাদের প্রোডাক্ট প্রমোশন বাবদ টাকা নিতে পারেন। ব্লগিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এই পোস্টটি পড়তে পারেনঃ ব্লগ লিখে আয় করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং হলো অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অনলাইন থেকে ইনকাম এর এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনার কম্পিউটার অথবা মোবাইল দিয়েই প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
আর বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা এত এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে একজন ফ্রিল্যান্সার হতে আগ্রহী হচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন হয় তাকে বলে ফ্রিল্যান্সিং আয়। আর যিনি এই সব কাজ করেন তাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।
বর্তমান সময়ে আমরা অধিকাংশ মানুষ যারা অনলাইনে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শব্দটার সাথে পরিচিত, আর ফ্রিল্যান্সিং অনেকের কাছে একটা পেশা হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে দিন দিন। কেউ কেউ ফ্রিল্যান্সিং থেকে ফুলটাইম ক্যারিয়ার হিসেবে নিচ্ছে অথবা part-time কর্মী হিসেবে নিয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে এটি একটি ফুলটাইম পেশা হিসেবে দাঁড়াবে।
বাংলাদেশের অবস্থান থেকে দেখা যায় দেশের শতকরা 40 পার্সেন্ট মানুষ বেকার। আরে বেকারত্ব দূর করা যায় একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করে। ঘরে বসে বিশ্বের যে কোন মানুষের কাজ কম্পিউটার বা মোবাইল এর মাধ্যমে করে দিতে পারবেন, বিনিময় অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে হবে । ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনাকে একটি কাজের উপর দক্ষ এবং পরিপূর্ণ আস্থাশীল হয়ে উঠতে হবে। আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করবেন তখন আপনার কাছে একটু সবকিছুই কঠিন কঠিন লাগবে কিন্তু আপনি যখন কাজের উপর দক্ষ এবং অটল থাকবেন তখন আপনার কাছে সবকিছু সহজ লাগবে এবং আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার থেকে ।
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কয়েকটি কাজের ধাপ হলো
- ওয়েব ডিজাইন
- গ্রাফিক ডিজাইন
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং
- কনটেন্ট মারকেটিং
- আর্টিকেল রাইটিং
- আর্টিকেল রি-রাইটিং
- ট্রানসলেশন
- ইত্যাদি
ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রায় ১২০০ রকমের কাজ রয়েছে, কিন্তু আমরা হাতেগোনা কয়েকটি কাজের নাম জানি যা অধিকাংশ মানুষ করে থাকে এবং সেই সব কাজের ইনকামের পরিমাণ বেশি। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন এই বিষয়ে আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল পড়তে পারেন এখান থেকে- ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার এক অন্যতম উপায় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যক্তির পণ্য বা সার্ভিস অনলাইনে প্রমোশন করে আপনি প্রতিমাসে 40 থেকে 50 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এই উপায়ে ইনকাম করতে হলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে দক্ষতা থাকা লাগবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং হল কোন পণ্য বা সেবা কে ডিজিটালে উপায়এ অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়া।
ধরুন কোন একটি প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন একটি পণ্য বা সেবা অনলাইনের মাধ্যমে তাদের নির্দিষ্ট ক্রেতাদের নিকট পৌঁছাতে চাচ্ছে, কিন্তু সময় বা কাজের অগ্রগতির কারণে সেটি তারা নিজেরা করতে পারছে না, এই ক্ষেত্রে তারা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সহযোগিতা নিয়ে সেই পণ্য বা সেবার প্রমোশন করতে যাচ্ছে। আর সেই তৃতীয় ব্যাক্তিটি যিনি এই সব কাজ করে দেবেন তাকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট। বিভিন্ন উপায়ে উক্ত পণ্য বা সেবা টি প্রচার বা প্রসার এর মাধ্যমে সঠিক ভোক্তার নিকট পৌঁছে দিতে হয় সেই ব্যক্তিকে, হতে পারে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অথবা সার্চ ইঞ্জিন এবং ইমেইল সেন্ড এর মাধ্যমে যার বিনিময় উক্ত প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে থাকে।
তো এই সুযোগটি আপনি কাজে লাগিয়ে আপনিও একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দক্ষতা থাকলে আপনি যেকোন মার্কেটপ্লেসে বড় বড় ক্লায়েন্টের কাজ করে দিতে পারবেন। আর মার্কেটপ্লেসে কাজ করলেই ইনকাম এর পরিমাণ বেশি থাকে যেটি লোকাল এরিয়ায় কাজ করলে হয় না।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধাপ রয়েছে আর প্রত্যেকটা ধাপে আলাদা আলাদা ইনকাম করার উপায় রয়েছে। যেমন
- সিপিএ মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
এই সমস্ত কাজ গুলো জানা থাকলে আপনি একটি পরিপূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হয়ে উঠতে পারবেন এবং প্রতিমাসে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আর ডিজিটাল মার্কেটিং কোথা থেকে শিখবেন এর অনেক উপায় আছে, ডিজিটাল মার্কেটিং শিক্ষার অন্যতম উপায় হলো আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কোন আইটি সেক্টর থেকে একটি কোর্স করে নিতে হবে । ইউটিউবে অনেক ফ্রি ভিডিও রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে যা দেখে আপনি মোটামুটি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন।
ইউটিউব এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম এর অন্যতম আরেকটি উপায় হল ইউটিউবিং। একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও আপলোড দিয়ে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রতিমাসে সর্বনিম্ন 20 হাজার থেকে শুরু করে 1 লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আর ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকা বাধ্যতামূলক।
ইউটিউব এর ইনকাম এর মাধ্যমে আমরা কমবেশি সবাই জানি, কিন্তু অনলাইনে ইনকামের মাধ্যম ইউটিউব একটি অন্যতম উপায়। আপনি আপনার ভিতরে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন ট্যালেন্ট ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রকাশ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন । তবে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে এটি অনেক ধৈর্যের একটি কাজ।
আজকাল ইউটিউব এর ইনকাম এর প্রতি মানুষের অধিক পরিমাণ আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে। ইউটিউব ইনকামের প্রতি প্রতিযোগিতাও অনেক তুমুল। তবে দিন দিন মোবাইল ব্যবহারকারীর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়াতে ইউটিউব এর ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে মাত্র 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইব পুরন করে আপনি আপনার চ্যানেল মনিটাইজ করে অধিক পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
একটা সময় যখন আপনার সাবস্ক্রাইবের সংখ্যা বাড়তে থাকবে এবং আপনার ভিউজ এবং ওয়াচ টাইম যখন বাড়তে থাকবে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপনের পরিমাণ বেশি হবে আর তখনি আপনার ইনকাম এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। শুধু মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন না বরং ইউটিউব এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং লোকাল প্রমোশন করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনের মাধ্যমে একটি জনপ্রিয় ইনকামের উপায়। কোন প্রতিষ্ঠান কোন পণ্য আপনার মাধ্যমে তারা বিক্রি করবে এবং বিনিময়ে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রদান করবে। আর আপনি এই সমস্ত কাজ করে দিবেন যাকে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। যত বেশি এফিলিয়েট করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ধাপ। আলাদাভাবে এটির জনপ্রিয়তা রয়েছে বলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি আলাদাভাবে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো। বিশ্বের বড় বড় ই-কমার্স সাইট যেমন অ্যামাজন, ইবে অথবা আলীএক্সপ্রেস এর মত প্রোডাক্ট সার্ভিস সাইট থেকে আপনি যদি এফিলেট করতে পারেন তাহলে অধিক পরিমাণে ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
আপনার মাধ্যমে উক্ত ই-কমার্স সাইট গুলোর বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন সেট করা থাকে অর্থাৎ আপনি যদি 100 টাকার একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন তাহলে তারা আপনাকে 10 থেকে 15 শতাংশ কমিশন প্রদান করবে অর্থাৎ 15 টাকা। এরকম হিসাব করলে দেখা যায় আপনি যদি প্রতিদিন 300 থেকে 400 ডলার প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৫ থেকে ৫৫ ডলার।
ছবি বিক্রি করে ইনকাম
আপনি যদি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন তাহলে আপনার হাতে তোলা সুন্দর এবং সৌন্দর্যবর্ধন বিভিন্ন ছবি আপনি অনলাইনের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে অধিক পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফটো তুলতে আমরা কারা ভালো না বাসি? ফটো তুলতে যেয়ে ডিএসএলআর ক্যামেরার ব্যবহার করতে হবে এমন কিন্তু না আজকাল এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনেও সুন্দর সুন্দর ছবি তোলা যায় যা কোনো অংশেই ডিএসএলআর থেকে কম নয়। আর যদি আপনার একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। আপনার তোলা ছবিগুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা একটি দারুণ সুযোগ রয়েছে।
ছবি বিক্রি করার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট SutterStock আপনার তোলা ছবিগুলো আপলোড করে বিক্রি করতে পারবেন যার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের রেট ধরা হবে ওয়েবসাইট থেকেই। আপনার ছবিটি যদি সৌন্দর্য বেশি থাকে তাহলে সেই ছবিটি বিক্রয়ের পরিমাণ বেশি ভাবে। যেমন এমন ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি ছবি 5 থেকে 10 ডলার বিক্রি করা হয় এবং এই বিক্রয়ের পরিমাণ যদি প্রতিদিন 10 থেকে 20 টা হয় তাহলে আপনার মান্থলি অনেক টাকা ইনকাম হবে।
তবে আপনার ছবিগুলো বিক্রি করার জন্যও আপনার ছবির মান এবং গুণগত দিক অনেক উন্নত হতে হবে। আপনার একটি একাউন্ট করে নিতে হবে ওয়েবসাইটে এরপরে আপনার ছবিগুলো একটা আপলোড দিতে হবে। যদি তারা এপ্রুভ করে তাহলে তো কোন কথাই নেই আস্তে আস্তে আপনার পরবর্তী ছবিগুলো আপলোড হবে এবং আপনি অধিক পরিমাণ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
আর্টিকেল রাইটিং হলো অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
আপনি যদি খুব একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হোন আপনার যদি বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লেখার অভ্যাস থাকে, অথবা নিয়মিত লেখালেখিতে অভ্যস্ত থাকেন তাহলে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে আপনার লেখাগুলো প্রকাশ করে বিনিময়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে এটাই সবচাইতে জনপ্রিয়, এবং সহজ ইনকামের উপায়।
এছাড়া অন্য কোন আপনার আর্টিকেল পুনরায় সাজিয়ে-গুছিয়ে রিরাইটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর্টিকেল লেখার জন্য আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন অথবা লোকাল কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ভাল ইংরেজি পারেন তাহলে আপনি ইংরেজী নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন অথবা আপনি বাংলা ভাষায় সুন্দর করে আর্টিকেল লিখতে পারেন।
আপনি যখন আর্টিকেল লিখতে আগ্রহী হবেন তখন আপনার কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে থেকে আপনাকে কি টপিক সিলেক্ট করে দেয়া হবে এবং আপনি সেই টপিক অনুযায়ী বিভিন্নভাবে রিসার্চ করে আপনার জ্ঞানের আলোকে সাজিয়ে সুন্দর মত সাজানো-গোছানো একটি আর্টিকেল লিখে ফেলবেন এবং তাদেরকে প্রদান করবেন এবং তারা আপনার সেই আর্টিকেলটি তাদের সাইটে প্রকাশ করবে। বিনিময়ে তারা কিছু মুনাফা অর্জন করবে বিজ্ঞাপন দ্বারা এবং আপনিও তাদের থেকে কিছু অর্থ আয় করতে পারবেন।
যদি খুব ভালো আর্টিকেল রাইটার হন তাহলে প্রতিটি 1000 শব্দের ইংরেজি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনি সর্বোচ্চ 500 টাকা পেতে পারেন এবং একটি বাংলা আর্টিকেলের জন্য সর্বোচ্চ 1000 শব্দের জন্য 300 টাকা পেতে পারেন। তো একটা আর্টিকেল লিখতে আপনার সর্বোচ্চ 2 থেকে 3 ঘন্টা সময় লাগতে পারে যদি ভালো রাইটার হন তাহলে আরো কম লাগতে পারে।
আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন ধাপ রয়েছে যেমন
- অ্যাক্যাডেমিক রাইটিং,
- নিউজ রাইটিং,
- ব্লগ রাইটিং,
- ম্যাগাজিন রাইটিং,
- আর্টিকেল রিরাইটিং,
- ট্রানসলেশন রাইটিং
- ইত্যাদি.
সুন্দরভাবে একটি আর্টিকেল লিখতে পারে আপনিও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন তো আর্টিকেল লেখার জন্য কিছু জিনিস আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যেমন আর্টিকেল লেখার টাইটেল, সাবটাইটেল, হেডিং, এবং প্যারাগ্রাফ. কিভাবে একটি সুন্দর আর্টিকেল লিখতে হয় এটি জানতে হলে আমাদের নিচের পোস্টটি পড়ে আসতে পারেন– আর্টিকেল লেখার নিয়ম:
গ্রাফিক্স ডিজাইন বিক্রি করে আয় করুন
আপনার যদি একটি কম্পিউটার থাকে এবং আপনি যদি একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজানার হন তাহলে আপনার হাতে গড়া সুন্দর সুন্দর ডিজাইন গুলো অনলাইনের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করে ফেলতে পারবেন এবং তার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর তাছাড়া ডিজাইন শুধু বিক্রি করেই নয় বরং মার্কেটপ্লেসে এ বিভিন্ন ক্লায়েন্টের থেকে অর্ডার সংগ্রহ করে তাদের গ্রাফিক্স ডিজাইন করে দিতে পারবেন এবং বিনিময় অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে আমি ফ্রিল্যান্সিং গ্রাফিক্স ডিজাইনের কথা বলছিনা বরং আমি বলছি আপনার তৈরি করা সুন্দর সুন্দর Logo কিংবা PNG , Banner Design, Png Shape , Vector Art .ইত্যাদি গ্রাফিক্স গুলোর কথা। যদি এক্সপার্ট কারিগরি হয়ে থাকেন তাহলে এগুলো বিক্রি করতে পারবেন মার্কেটপ্লেসে।
অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন বিক্রি করার তন্মধ্যে কয়েকটি হলো, Behance এবং Dribbble। এসব সাইটে আপনার তৈরি করা বিভিন্ন প্রজেক্টে দেখিয়ে একটি একাউন্ট করে আপনার প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভ করে নিতে পারবেন । এবং এরপরেই আপনার তৈরি বিভিন্ন প্রজেক্ট মানুষের নিকট প্রকাশ হবে এবং যারা যারা কিনতে প্রস্তুত তারা আপনার মত একটি ক্রয় করবে বিনিময় আপনি কিছু ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
গেম স্ট্রিমিং করে আয় করুন
আপনি যদি ভিডিও গেম খেলতে পছন্দ করেন এবং আপনি যদি খুব ভালো খেলোয়ার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার খেলার ভিডিও গেম গুলো অনলাইনের মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় হিসেবে এটি একটি দারুন সুযোগ।
বর্তমানে অনেক ই স্পোর্টস কমিউনিটি রয়েছে, দেশে বড় বড় গেম যেমন PUBG এবং Free Fire এ ছাড়া Call Of Duty ,GTA5, Arena Of Valor,ইত্যাদির মত বড় বড় ভিডিও গেম গুলো Facebook, Youtube এবং Twitch এর মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সরাসরি স্ট্রিমিং করতে পারবেন।
প্রতিটা প্লাটফর্মে আপনার যত ফলোয়ার এবং আপনার যত সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে আপনার ইনকামের পরিমাণে ততটা বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তো আপনি যদি ভালো গেম খেলে থাকেন তাহলে এই সুযোগটা আপনার মিস করা উচিত নয়। প্রতি মাসে প্রায় লাখ লাখ টাকা গেম খেলে ইনকাম করতে পারবেন। ঘরে বসেই শুধু গেম খেলে সময় নষ্ট করবেন? গেম খেলবেন টাকাও ইনকাম করবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন করে ইনকাম করুন
বর্তমান সময়ে ওয়র্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন নিয়ে অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে। ইন্টারনেট জগতে প্রায় 70 ভাগ ওয়েবসাইটগুলো ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা। যার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট এর একটি সিএমএস প্ল্যাটফর্ম পিএইচপি এবং জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে তৈরি করা হয়। ওয়াডপ্রেস এর মাধ্যমে সম্পন্ন রেস্পন্সিভ এবং ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। বড় বড় ই-কমার্স, ব্লগ সাইট, পোর্টফোলিও, এজেন্সি, স্কুল ম্যানেজমেন্ট ওয়েবসাইটগুলো ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে অনেকটা তৈরি হয়।
নতুন নতুন অনেকেই ই-কমার্স সাইট বা ইত্যাদি সাইট গুলো তৈরি করতে চাচ্ছেন। আর যারা তৈরি করতে চাচ্ছেন তারা হয়তো নিজেরা তৈরি করতে না পেরে অন্য কাউকে দিয়ে কাজটা করিয়ে নিচ্ছেন। আপনি যদি একজন ভাল ওয়াডপ্রেস কাস্টমাইজেশন বা ডেভলপমেন্ট দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও মানুষের কাজ অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে দিতে পারবেন এবং বিনিময়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন আপনি বড় বড় মার্কেটপ্লেস যেমন, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, আপওয়ার্ক, ফাইবার সহ বিভিন্ন সাইটগুলোতে কাজ করে কাজের আবেদন করতে পারবেন এবং আস্তে আস্তে আপনি কাজ পেতে থাকবেন। এছাড়াও আপনি যদি দক্ষ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে নয় আপনার লোকাল এরিয়ায় যত কাজ আছে তাও করে দিয়ে বিনিময় অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শিখতে হলে আপনাকে ভাল করে জানতে হবে যেমন ওয়ার্ডপ্রেস কি, পিএইচপি কি, জাভাস্ক্রিপ্ট কি, ইত্যাদি।
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপমেন্ট শিখতে চান তাহলে আপনাকে একটি কোর্স করে নিতে হবে অথবা আপনার যদি কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তি থাকে তাহলে তার থেকে শিখে নিতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে ওয়েব ডেভলপমেন্ট সম্পন্ন করে নিতে হবে শুধু তাই নয় বরং PHP ভাল করে শিখে নিতে হবে। এরপরে ওয়ার্ডপ্রেসের বিভিন্ন ফাংশনালিটি সম্পর্কে আপনাকে ধারণা নিতে হবে এবং অনেক চর্চা করা যেতে হবে অর্থের উপর। আস্তে আস্তে যখন আপনি হয়ে উঠবেন তখন যেকোন ধরনের ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারবেন। এবং যখন অন্যদের কাজ করে দিবেন তখন আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন যেমন একটা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ই কমার্স সাইট তৈরি করে দিতে অনেক সময় 100 থেকে 200 টাকা পর্যন্ত আপনি পেতে পারেন সর্বোচ্চ 1,000 থেকে 2000 ডলার আয় করতে পারেন।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় নিয়ে শেষ কথা
এখানে হাতেগোনা কয়েকটি উপায় বলা হয়েছে যা অনেক জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য এবং সহজ। এছাড়াও অনলাইন থেকে উপার্জন করার জন্য অজস্র উপায় রয়েছে। আপনি হয়তো সেগুলো গুগল থেকে ঘাটাঘাটি করলে অনেক জানতে পারবেন। আপনি যত উপায় খুঁজে বের করেন না কেন আপনাকে আগে যে কোন একটি কাজের উপর অটল থাকতে হবে এবং দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। কোন কাজ না শিখিয়ে আপনি কোনদিন এই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। আর তাই অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে আগে কাজের প্রতি দক্ষ হতে হবে এবং যে কোন একটি কাজ বেছে নিতে হবে।
I am really surprised by the quality of your constant posts. You really are a genius, I feel blessed to be a regular reader of such a blog Thanks so much..
Thank For your valuable Comment