সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায়

অনলাইনে তথ্যভিত্তিক অপরাধের শিকার হয়েছেন? প্রশাসনিক সাহায্য নিতে পারেন এখনই। জেনে নিন,সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায়

সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়তই। নানারকম তথ্যভিত্তিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অনেকেই। আইডি হ্যাক করা, নারীদের ছবি বা ভিডিও দিয়ে সেক্সুয়াল এবিউস, কোন প্রতিষ্ঠানের ডাটা চুরি, হুমকি – এসকল অপরাধ হচ্ছে অহরহ।

সম্মানহানির ভয়ে অনেকেই এ সকল বিষয় গোপন রাখে। তবে তাতে জটিলতা বাড়ে। তাই বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে অভিযোগ করে এ বিষয়ে সহযোগিতা পেতে পারেন। সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায় , কি কি লাগবে, অপরাধীর শাস্তি সম্পর্কে তথ্য রয়েছে এই আলোচনায়।

সাইবার ক্রাইম কি

অবৈধ উপায়ে যেকোনো যোগাযোগ যন্ত্রকে ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধই সাইবার ক্রাইম (Cybercrime)। সাধারণত কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে এ ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়।

সাইবার ক্রাইম অপরাধের ফলে ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক সংস্থা কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায় জানেন না অনেকেই। তাই অপরাধীরা সহজেই পার পেয়ে যায় ও সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পায়।

সাইবার ক্রাইমের ধরন

সাইবার ক্রাইম বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে এর মূল লক্ষ্যই থাকে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের টার্গেট করে সম্মানহানি করা বা অর্থনৈতিক স্বার্থ পূরণ করা। নিচে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত কয়েকটি সাইবার ক্রাইমের ধরন দেওয়া হলো:

  • রোমান্স স্ক্যান্ডাল

সাইবার ক্রাইমের বড় একটি ক্ষেত্রও হচ্ছে রোমান্স স্ক্যান্ডাল। একে সেক্সুয়াল এবিউসও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত কোন নারীদের ব্যক্তিগত/ গোপন ছবি তার সম্মতি বা অসম্মতিতে ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করে সম্মানহানি বা ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করাই এর উদ্দেশ্য।

বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে নারীদের অশ্লীল ছবি পোস্ট করা হয়। কিংবা কোনো নারীর ছবির সাথে অন্য কারো ছবি এডিট করে সম্মানহানির জন্য পোস্ট করা হয়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে সেই অপরাধী ব্যক্তি বিপুল অংকের টাকা চেয়ে থাকে। সাইবার ক্রাইমের প্রায় ৩০% মামলাই এই রিলেটেড হয়।

বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বিভিন্ন ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ( AI ) টেকনোলজি দ্বারা বিভিন্ন মানুষের সাধারণ যেকোনো ছবি বা ভিডিওকে স্ক্যান্ডাল এ রূপান্তর করতেছে অনেকে। সাধারণ একটি ছবিকে AI টেকনোলজি নগ্ন ছবিতে পরিবর্তন করে দিতে পারবে, এছাড়াও বিভিন্ন পর্ন তারকার ভিডিওতে আপনাদের মুখমন্ডল লাগিয়ে রোমান্স স্ক্যান্ডাল তৈরি করে ভাইরাল করতে পারে, আপনি কখনো ঠিক বুঝতে পারবেন না যে আপনার অজান্তে কখনো কেউ আপনার ছবিও ব্যবহার করে আপনার নামে নগ্ন বা অশালীন ছবি কিংবা ভিডিও তৈরি করেছে।

  • সাইবার বুলিং

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কাউকে উত্যক্ত করা, সম্মানহানির চেষ্টা করাই সাইবার বুলিং। আপনাকে ট্র্যাক করে আপনার ফেসবুক পোস্টে অশালীন কমেন্ট করা, হুমকি দেওয়া, মেসেঞ্জারে বিরক্ত করা সাইবার বুলিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে আপনি সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায় মেনে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

  • আইডি হ্যাক

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইডি হ্যাক করা বর্তমানে ট্রেন্ডিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইডি হ্যাক করে আপনার নিজের আইডি থেকে ব্যক্তিগত কিংবা অন্যের নানারকম অশালীন ছবি পোস্ট করতে পারে। একইসাথে আপনার আইডি ব্যবহার করে আপনার বন্ধু-বান্ধবের কাছে অর্থ সহায়তা চাইতে পারে। আপনার শত্রুকে উস্কানিমূলক কমেন্ট করতে পারে। ফলে আপনার উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

হ্যাকারকে এসকল কার্যক্রম বন্ধ করতে বললে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নিতে চায়। এক্ষেত্রে আইনান্য ব্যবস্থা নিতে পারেন।

  • হ্যাকিং

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইডি হ্যাকিং ছাড়াও হ্যাকাররা বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক, প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য চুরি ইত্যাদি করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্য/ ডাটা হ্যাক করে নিয়ে সুনাম ধ্বংসের চেষ্টা করে। ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করে এর অর্থ ট্রান্সফার করে নেয় ইত্যাদি।

সাধারণত এই ধরনের হ্যাকিং কম হয়, তবে ক্ষতির পরিমাণ হয় অনেক বেশি। এরকম সাইবার ক্রাইম থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। তবে হ্যাকারের ফাঁদে পড়ে গেলে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন। এছাড়াও সাইবার ক্রাইম আরও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

সাইবার ক্রাইম অভিযোগ কোথায় করবেন?

বর্তমানে সাইবার ক্রাইম ব্যাপক আকার ধারণ করছে। তাই সরকার সাইবার ক্রাইম থেকে জনগণকে নিরাপদ রাখতে এবং কেউ সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে আইনি ব্যবস্থা পেতে সাইবার ট্রাইবুনাল গঠন করেছে। বিভিন্নভাবে সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করা যায়। যেমন:

নিকটস্থ থানায় উপস্থিত হয়ে সরাসরি অভিযোগ। 

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হওয়া ব্যক্তি নিজের তথ্য গোপন রাখতে চায়। এক্ষেত্রে DMP এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে অভিযোগ করতে পারেন। ফেসবুক পেজের নাম: Police Cyber Support for Women (PCSW)। অথবা, https://www.facebook.com/PCSW.PHQ এই লিঙ্কে গিয়ে মেসেজ করে অভিযোগ জানাতে পারেন।

ইমেইলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সহ অভিযোগ করতে পারেন।

ইমেইল এড্রেস: cybersupport.women@police.gov.bd বা, cyberhelp@dmp.gov.bd

সাইবার ক্রাইম সম্পর্কিত পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন। হেল্পলাইন নাম্বার- ০১৩২০০০০৮৮৮

সাইবার ক্রাইম হটলাইন নাম্বার ৯৯৯ – এ কল করে অভিযোগ জানাতে পারেন।

স্থানীয় থানায় অভিযোগ করার পর কোন সহযোগিতা না পেলে, ডিএমপি-র হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করুন। এজন্য উপরোক্ত নিয়মগুলোতে অভিযোগ করতে না চাইলে সরাসরি Counter Terrorism Division এর Cyber Crime Unit অফিসে উপস্থিত হন। ঠিকানা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্মরণী, রমনা, ঢাকা – ১০০০।

সাইবার ক্রাইম অপরাধী কোন অপরাধের বিপরীতে মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। সরাসরি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায়ে সাহায্য নিন।

সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায়

সাইবার ক্রাইম সম্পর্কিত জটিলতার শিকার হলে প্রশাসনের সহায়তা নিতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনি পুলিশের সহায়তা নিতে চান এ সম্পর্কে জানলে অপরাধী বাড়তি জটিলতার সৃষ্টি করবে।

তবে প্রথমেই আপনাকে অপরাধীর অপরাধ প্রমাণের জন্য অভিযোগ সংক্রান্ত স্পষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। অভিযোগ করতে প্রয়োজন হবে:

  • আপনার সাথে সংগঠিত সাইবার অপরাধের ছবি, ভিডিও, লিংক, স্ক্রিনশট, হুমকির অডিও রেকর্ড ইত্যাদি।
  • স্ক্রিনশট নেওয়ার ক্ষেত্রে যেন এড্রেস বারের URL সঠিকভাবে দেখা যায় তা খেয়াল রাখুন।
  • গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো, যা আপনার অভিযোগ প্রমাণ করবে এমন সবকিছুই একত্রিত করুন।
  • এসকল ডকুমেন্টস প্রিন্ট করে সরাসরি স্থানীয় থানায় অভিযোগ করুন। অথবা, PCSW ফেসবুক পেইজে,
  • cyberhelp@dmp.gov.bd ইমেইল এড্রেসে কিংবা সরাসরি ডিএমপির হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করুন।
  • সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায় অবলম্বন করুন।

আপনার দেওয়া তথ্য ও উপাত্ত যত বেশি স্পষ্ট হবে এবং অপরাধের সঠিক প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে, আপনার অভিযোগ তত বেশি কার্যকর হবে। অপরাধী সর্বদাই নিজের পরিচয় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রাখতে চেষ্টা করবে। সেক্ষেত্রে আপনার সম্ভাব্য উপায় সঠিক তথ্যটি বাছাই করতে সর্বদাই সজাগ থাকুন।

অভিযোগ দাখিল করার পর নিয়মিত যোগাযোগ করে আপডেট তথ্য জানুন।

সাইবার ক্রাইম আইন। সাইবার ক্রাইম মামলার শাস্তি

সাইবার অপরাধীদের জন্য সাইবার ট্রাইবুনাল কঠিন শাস্তির আইন প্রণয়ন করেছে। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। বাংলাদেশে মোট ৮টি ট্রাইব্যুনাল রয়েছে।

সাইবার ক্রাইম সম্পর্কিত অনেক আইন রয়েছে। সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায়ে এ সকল আইন অনুসারে সাহায্য পেতে পারেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন ও শাস্তি তুলে ধরা হলো:

(১) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ – এর ৫৪ ধারা অনুযায়ী- 

কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার ইত্যাদির ক্ষতিসাধন যেমন ই-মেইল পাঠানো, ভাইরাস ছড়ানো, সিস্টেমে অনধিকার প্রবেশ করা ইত্যাদি অপরাধ। এর শাস্তি সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড। অথবা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।

(২) ৫৬ ধারা অনুযায়ী- 

যদি কেউ ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এমন কোনো কাজ করেন, যার ফলে কোনো কম্পিউটার রিসোর্সের কোনো তথ্য বাতিল বা পরিবর্তিত হয় বা এর উপযোগিতা কমে যায়। অথবা কোনো কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক, সার্ভার বা কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন, তবে এটি হবে হ্যাকিং অপরাধ। এর শাস্তি সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড। অথবা ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা।

(৩) ৫৭ ধারা অনুযায়ী- 

কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কোন মিথ্যা বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে, যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় অথবা রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তাহলে এগুলো হবে অপরাধ। এর শাস্তি সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড। অথবা ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা।

বর্তমানে ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ কার্যকর রয়েছে। টেকনোলজি বিষয়ক সকল আইনের শাস্তিগুলোই কঠোর। সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায়ে এসকল আইনের আওতায় মামলা করতে পারবেন।

ফেসবুকে সাইবার ক্রাইম

সাইবার ক্রাইমের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র এখন ফেসবুক। ফেসবুকের সবচেয়ে প্রচলিত কিছু সাইবার ক্রাইম হলো:

  • আইডি হ্যাক করা।
  • ন্যুডস বা স্কান্ডাল ভাইরাল করা
  • আইডির অরিজিনাল মালিকের অসচেতনতায় ব্যক্তিগত বা অন্যান্য অশালীন ছবি পোস্ট করা।
  • ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট।
  • রাজনৈতিক উস্কানিমূলক পোস্ট।
  • ফেসবুকে হুমকি।
  • কোন নারীর ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা ইত্যাদি।

এ সকল অপরাধের সবচেয়ে বেশি শিকার হয় ১৮-৩০ বছরের কম বয়সীরা। যাদের অধিকাংশই নারী। এর মূল কারণ হলো সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায় সম্পর্কে কোন জনসচেতনতা।

সাইবার হামলা থেকে বাঁচার উপায়

  1. অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট না করা।
  2. সন্দেহজনক কোন লিংকে ক্লিক না করা।
  3. নিজের ব্যাক্তিগত ছবি, ইমেজ, ভিডিও কারো কাছে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা।
  4. পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করবেন না
  5. সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের প্রাইভেসি সেটিংস চেক করা। Tag অপশন সর্বদা অফ রাখা এবং ব্যাক্তিগত তথ্য সমূহ লক করে রাখা।
  6. সন্দেহজনক কোন ই-মেইল বা মেসেজের রিপ্লাই দেওয়া বিরত থাকুন।
  7. সাইবার বুলিং এর শিকার হলে থানায় অভিযোগ করুন।
  8. মোবাইলের সব ধরনের সফটওয়্যার আপডেটেড রাখুন।
  9. কোন পরিচিতজনের বিপদের কথা জানিয়ে ইমেইল অথবা মেসেজ আসলে আগে যাচাই করুন।
  10. বিপুল পরিমাণ অর্থ লটারীতে জিতেছেন, এমন তথ্যসহকারে পাঠানো ইমেইল বা মেসেজের লিংকে ক্লিক না করা।

এই বিষয়গুলো মেনে চলার পরেও অনেকেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হন। সেক্ষেত্রে সাইবার ক্রাইম অভিযোগ করার উপায়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিন।

FAQ

বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন নম্বর ২০২৩ কোনটি?

সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন নাম্বার- ০১৩২০০০০৮৮৮, হটলাইন – ৯৯৯।

সাইবার ক্রাইম অফিস কোথায়?

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্মরণী, রমনা, ঢাকা – ১০০০।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *