অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম। চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

0

অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম বা চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম দুটি অভিন্ন বিষয়।  যার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো কোন লেনদেন বা কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা।  একটি কার্যক্রম লেনদেনের ভবিষ্যৎ ফলাফল জাতে সুস্থ হয় এই কারণে দুটি পক্ষের অনুমতিক্রমে সাক্ষীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা লেখা হয়। সমসাময়িক ভাবে বিভিন্ন সময়ে অঙ্গীকারনামা পত্র লেখার দরকার পড়ে থাকে। একটি চুক্তিপত্র বা অঙ্গিকার নামা দলিলে কোন কোন মূল বিষয়গুলো উল্লেখ থাকা উচিত এটা সবার জেনে রাখা আবশ্যক।

যেহেতু মূল বিষয়বস্তু উক্ত চুক্তিনামায় লেখা না হলে লেনদেন কার্যক্রম বিচ্ছিন্ন হতে পারে এতে আর্থিকভাবে বা ব্যক্তিক ভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চলুন  আজকের পোষ্টে আমরা জানবো অঙ্গীকারনামা পত্র কিভাবে লিখতে হয়,  এটার প্রয়োজনীয়তা,  এবং ভবিষ্যৎ ফলাফল।

অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

 

অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র কি

একটি অঙ্গীকারনামা একটি আইনগতভাবে প্রয়োগযোগ্য লিখিত চুক্তি যা তার পক্ষগুলির মধ্যে পারস্পরিক অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা তৈরি করে, সংজ্ঞায়িত করে এবং পরিচালনা করে। একটি চুক্তিতে সাধারণত পণ্য, পরিষেবা, অর্থ হস্তান্তর বা ভবিষ্যতের তারিখে যে কোনও একটি স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি জড়িত থাকে। চুক্তি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, আহত পক্ষ বিচারিক প্রতিকার চাইতে পারে যেমন ক্ষতি বা প্রত্যাহার। চুক্তি আইন, চুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট বাধ্যবাধকতার আইনের ক্ষেত্র, এই নীতির উপর ভিত্তি করে যে চুক্তিগুলিকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

একটি অঙ্গীকারনামায় একজন ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি মূলক তথ্য উল্লেখিত হয় যেমন  উদাহরণ হতে পারে কোন একজন ব্যক্তি একটি নতুন ব্যবসা কার্যক্রম চালু করবে, তোর ব্যবসা কার্যক্রম এর জন্য তিনি একটি বীমা কোম্পানির  কাছে তার  বীমা তৈরি করতে চাচ্ছে.।  বীমা কোম্পানির দেওয়া শর্ত বলি উল্লেখ করে সেখানে তার ব্যক্তিগত তথ্য সহ তিনি যে এই কোম্পানির মালিক এবং তিনি বীমা কোম্পানির সমস্ত শর্ত মেনে চলবেএবং দেশের সৃষ্ট সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য থাকবে এই মর্মে নিজেকে অঙ্গীকার করবে,,  এই সমস্ত তথ্যই উল্লেখ থাকে অঙ্গীকারনামায়।

চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা কিছু দিক দিয়ে একিই জিনিস।  তবে দুটি বাক্যকে আলাদা আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়।  চুক্তিপত্র হল কোনো কার্যক্রমের সমস্ত শর্তাদির লিখিত রূপ। আর উক্ত শর্তাবলী মেনে চলার প্রতিশ্রুতি মূলক বিবৃতি হলো অঙ্গীকারনামা। জানুন অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র লেখার প্রয়োজনীয়তা

এক বা একাধিক পক্ষ  এবং সাক্ষীর উপস্থিতিতে নির্ধারিত  স্টাম্প পেপারে এই চুক্তিনামা লেখা হয়।  চুক্তিপত্র লেখার ভিতর অনেকগুলো জিনিস বর্ণনা করা যেতে পারে।  যেমন আপনার কোন ব্যবসায় কার্যক্রমে একজন ব্যক্তিকে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে গ্রহণ করবেন একটি নির্দিষ্ট শর্তাবলীর  উপরে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ প্রদানের ভিত্তিতে।  এই সমস্ত বিষয় গুলো বর্ণনা করে লিখতে হয় চুক্তিপত্রে।  তাছাড়াও আজকাল আমাদের বিভিন্ন কাজে  চুক্তিপত্র অঙ্গীকারনামা লেখার দরকার হতে পারে।  একটি উপযুক্ত চুক্তিপত্র কারণে দুই পক্ষই দায়বদ্ধ থাকে,  যার ফলে ভবিষ্যতে উক্ত কার্যক্রমের কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা থেকে নিজেকে বা নিজের  ব্যবসায় কে বাঁচানো সম্ভব।

আর কোন পক্ষ যদি চুক্তিপত্রের আইন ভঙ্গ করে বা চুক্তিপত্র বরখেলাপ করে অথবা অন্য কোনো পক্ষ প্রতারনার শিকার হয় তাহলে দেশে বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন।

অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

যদি অঙ্গীকারনামা কোন সংস্থা বা কোম্পানি বিশেষ হয়ে থাকে তাহলে তাদের নিজস্ব প্রিন্ট করা কাগজ হলেই চলবে। অথবা বিশেষ প্রয়োজনে স্ট্যাম্প পেপার ব্যবহার করতে হবে। 

যে ব্যক্তি বা কোম্পানির নিকট আপনি অঙ্গীকার করবেন সেই ব্যক্তি অঙ্গীকারনামায় প্রথমেই আপনার পরিচয় নিয়ে থাকবেন।  অর্থাৎ আপনাকে অঙ্গীকারনামা সর্বপ্রথম আপনার নাম,  আপনার ঠিকানা, আপনার বয়স,  আপনার ধর্ম,  আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ইত্যাদি চাওয়া হবে যা আপনাকে উল্লেখ করতে হবে  যেটা দ্বারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশিত হয়।এরপরে উক্ত ব্যক্তি তার দেওয়া শর্ত একে একে করে উল্লেখ করবেন এবং সেখানে আপনাকে প্রতিশ্রুতি মুলক স্বাক্ষর করতে হবে এবং  আপনাকে অঙ্গীকার করতে হবে। অবশ্যই অঙ্গীকারনামায় তারিখ উল্লেখ করতে হবে। 

এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অঙ্গীকার নামার প্রয়োজন হতে পারে যেমন,  চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে,  স্কুল কলেজ বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি অঙ্গীকারনামা প্রয়োজন হতে পারে।  এছাড়াও কোন সংস্থা বা কোন কোম্পানির বিশেষ প্রয়োজনে অঙ্গীকারনামা প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণভাবে প্রত্যেক অঙ্গীকারনামায় ব্যক্তিগত তথ্য এবং শর্তাবলি উল্লেখ পূর্বক অধিকার প্রদান করতে হয়

একটি আদর্শ অঙ্গীকারনামা নমুনা

আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী……………পিতাঃ……………………. মাতা…………….পেশা………….ঠিকানাঃ…………….. বয়স………..ধর্ম……….জাতীয়তা……….জাতীয় পরিচয়পত্র নং….. 

এ মর্মে অঙ্গীকারপূর্বক ঘোষণা করছি যে, ( ব্যক্তি যে যে বিষয়ের উপর অঙ্গীকার করবেন সেইসব শর্তাদি উল্লেখ করতে হবে এবং সেই সব বিষয়ে নাম্বার দিয়ে উল্লেখ করতে হবে াসদল 1,2,3,4 …………।+)

কোন আইনি জটিলতায় থাকলে সেটি উল্লেখ করতে হবে (শর্তাবলী ভিতর থাকলে প্রয়োজন ক্ষেত্রে)

আমি  ঘোষণা করছি যে, আমি সম্পূর্ণ স্বজানে, সুস্থ মস্তিষ্কে এবং কারো কেন প্ররোচনা ব্যতীত এ অঙ্গিকার নামায় সাক্ষর করিলাম। 

তারিখঃ (বাম পাশে)

সাক্ষর, , (ডান পাশে)

মোবাইল নম্বরঃ

ইমেইলঃ

চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

চুক্তিপত্র পত্র লেখার জন্য সর্বপ্রথম যে জিনিসটার দরকার হবে সেটি হলো স্ট্যাম্প পেপার। চুক্তি করতে গিয়ে আমাদের আইনগত যে দলিলের প্রয়োজন হয় তাকেই বলা হয় স্ট্যাম্প। বাজারে বিভিন্ন মূল্যের স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। যেমনঃ ১,২,৫,১০,২০,৫০,১০০ টাকার স্ট্যাম্প।

স্ট্যাম্প পেপার বিহীন কোন চুক্তি  আইনগত দিক থেকে কার্যকর হবেনা যা অবৈধ বলে গণ্য হবে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের স্ট্যাম্প পেপারে  চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হয়। স্ট্যাম্প জুডিশিয়াল বা নন-জুডিশিয়াল হতে পারে। তাই একটি চুক্তিপত্র অঙ্গীকারনামা লেখার জন্য একটি স্ট্যাম্প পেপার সংগ্রহ করে নিবেন।

স্ট্যাম্প পেপারে যা যা লিখতে হবে

  1. প্রথমে চুক্তির তারিখ লিখতে হবে
  2. চুক্তিপত্রে চুক্তি গ্রহণকারী পক্ষগুলোর ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম,  ঠিকানা,  মোবাইল নাম্বার এবং ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার উল্লেখ করতে হবে
  3. চুক্তি পত্রের উদ্দেশ্য উল্লেখ করতে হবে।  অর্থাৎ কোন কারনে চুক্তিপত্রটি লেখা হচ্ছে  সেই বিষয়টি উল্লেখ আবশ্যক।
  4. উক্ত চুক্তিতে চুক্তি গ্রহণকারী কোন পক্ষ কি ভূমিকা পালন করবে সেটি বর্ণনা করতে হবে
  5. এরপরে শব্দটি একটি জরুরি বিষয় সেটি হল চুক্তির মেয়াদ কাল। এটি উল্লেখ করতে হবে বাধ্যতামূলক
  6. চুক্তির শর্তাবলী উল্লেখ করতে হবে
  7. চুক্তিপত্রের নিচে উভয় পক্ষের সাক্ষ্যর এবং  উভয়পক্ষের সাক্ষী গনের সাক্ষ্যর প্রদান করতে হবে
  8. সবচেয়ে যেটি আছে সেটি হল চুক্তিভঙ্গের ফলাফল।  কোন পক্ষ যদি চুক্তিটি ভঙ্গ করে তাহলে ভবিষ্যৎ ফলাফল কি হবে সেটি এখানে নির্ধারণ করে দিতে হবে।

যেই শর্তাবলীর ভিত্তিতে চুক্তিপত্র আইনগত দিক থেকে কার্যকর হবে

  • চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে সাবালক, সুস্থ মস্তিস্ক সম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে।
  • প্রত্যেক  চুক্তিতে অবশ্যই একজন অপর একজনকে প্রস্তাব প্রদান করবে এবং
  • অপর ব্যক্তি উক্ত প্রস্তাব গ্রহণে সম্মতি জ্ঞাপন করে কোন কিছু প্রতিদান করতে হবে।
  • প্রতিদান ব্যতিত কোনো চুক্তিই কার্যকর হবে না ।

টাকা ধারের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

টাকা লেনদেন করার ক্ষেত্রে 300 টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি করতে হয়।  যে ঋণ দেবে এবং  যে ব্যক্তি ঋণ গ্রহণ করবে এই দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং সাথে দুই ব্যক্তির সাক্ষীর স্বাক্ষর প্রদান করা হয়। 

নমুনা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

টাকা ধার (ঋণ) দেওয়া/নেওয়ার চুক্তিপত্র

মোঃ আইয়ুব আলী, পিতা মৃত মোঃ আবুল হোসেন, মাতা-সখিনা বেগম, বর্তমান ঠিকানা : ১১০, নং পূর্ব নাখালপাড়া, থানা- তেজগাঁও, জেলা- ঢাকা । স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম- উত্তরপাড়া, ডাকঘর- জামতলা, থানা- মতলব, জেলা- চাঁদপুর, মোবাইল নং ০১২৩৪৫৬৭৮৯০, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ১২৩৪৫৬৭৮৯০, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলা, পেশা- চাকুরী। ——— প্রথমপক্ষ / ঋণ দাতা।

মোঃ আব্দুজ জাব্বার, পিতা মোঃ গোলাম রাব্বানী, মাতা-আলেয়া বেগম, বর্তমান ঠিকানা – ২০, পুর্বতেজতুরী বাজার, ফার্মগেট, ঢাকা । স্থায়ি ঠিকানা : প্রাম- মধ্যপাড়া, পোঃ- হাসানহাট, থানা- বেগমগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালী, মোবাইল নং ০১২৩৪৫৬৭৮৯০, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ১২৩৪৫৬৭৮৯০, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলা, পেশা- ব্যবসা। …………দ্বিতীয়পক্ষ / ঋণ গ্রহিতা।

পরম করুনাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরন করিয়া অত্র টাকা ধার /ঋণ দেওয়া চুক্তিপত্র দলিলের বয়ান আরম্ভ করিতেছি, যেহেতু আমি দ্বিতীয় পক্ষ আমার ব্যবাসিয়ক কাজে নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় আপনি ১ম পক্ষের (ঋণ দাতা) কাছে ২০,০০,০০০/- ( বিশ লক্ষ) টাকা ধার / ঋণ হিসাবে নেওয়ার প্রস্তাব করিলে আপনি ১ম পক্ষ / ঋণ দাতা উহাতে সম্মত হন । সেমতে আমরা উভয় পক্ষ নি¤œ বর্নিত শর্তাবলীতে একমত হইয়া অত্র চুক্তিপত্র দলিল সম্পাদন কলিাম ।

শর্তাবলী

১) অদ্য ০১/০১/২০২২ইং তারিখে আমি ২য় পক্ষ (্ঋণ গ্রহিতা) আপনি ১ম পক্ষের (্ঋণ দাতা) নিকট হইতে ধার /ঋণ বাবাদ এককালিন ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা জনতা ব্যাংক, কাওরান বাজার শাখার ১২৩৪৫৬৭ নং চেকের মাধ্যমে গ্রহন করিলাম এবং উক্ত টাকা আমি ২য় পক্ষ আমার ব্যবসায়িক কাজে বিনিয়োগ করিব ।

২) উপরোক্ত ঋণের বিপরিতে আমি ২য় পক্ষ /ঋণ গ্রহিতা আপনি ১ম পক্ষ/ঋণ দাতাকে প্রতি মাসে ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা করিয়া ব্যবসার লভ্যাংশ বাবদ প্রদান করিব ।

৩) আমি ২য় পক্ষ / ঋণ গ্রহিতা উপরে বর্নিত লভ্যাংশের টাকা পরবর্তি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান করিব এবং করিতে বাধ্য ধাকিব ।

৪) কোন অবস্থাতেই উপরে বর্নিত ধার্যকৃত মাসিক লভ্যাংশের পরিমান বৃদ্ধি করা যাইবে না ।

৫) প্রকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোন সরকারী বিধিনিষেধের কারনে ব্যবসা পচিালনায় বিঘœ ঘটিলে উভয় পক্ষের আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মাসিক লভ্যাংশের পরিমান মওকুফ বা কমানো যেতে পাওে, বিষয়টি অবশ্যই উভয় পক্ষের মানবিক দিক বিবেচনায় করা হবে ।

৬) ১ম পক্ষ/ঋণ দাতার নিজস্ব প্রয়োজনে উক্ত ধার দেওয়া টাকার প্রয়োজন হয়ে পড়লে, ২য় পক্ষ/ঋণ গ্রহিতা ০২ বা ০৩ মাস আগে জানাইবেন। ২য় পক্ষ ঋণ গ্রহিতা কোন ধরনের গরিমসি না করেই উক্ত সময়ের মধ্যে ১ পক্ষ/ঋণ গ্রহিতাকে তার দেওয়া ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা এককালিন পরিশোধ করিয়া দিবেন এবং দিতে বাধ্য রহিলেন । ¬¬¬¬¬¬

৭) অনুুরুপ ভাবে ২য় পক্ষ /ঋণ গ্রহিতা, ঋণ হিসাবে গ্রহনকৃত উক্ত ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা ফেরৎ প্রদনি করিতে চাহিলে ১ মাস আগে ১ম পক্ষ/ঋণ দাতাকে জানাইবেন এবং উক্ত সময়ের পর লভ্যাংশের টাকা সহ মুল টাকা ১ম পক্ষ/ঋন দাতাতে ফেরৎ প্রদান করিবেন । এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ ও স্থির মস্তিস্কে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র চুক্তিপত্র দলিল আমরা উভয় পক্ষ পাঠ করিয়া ইহার মর্ম ও ফলাফল ভালোভাবে অবগত হইয়া আমরা উভয় নিজ নিজ সহি সম্পাদন করিলাম।

ইতি তারিখ

১ঃস্বাক্ষীগনের স্বাক্ষর ও ঠিকানা

২) ————————— ১ম পক্ষ /ঋণ দাতার স্বাক্ষর ————————— দ্বিতীয় পক্ষ ঋন গ্রহিতার স্বাক্ষর

Leave A Reply

Your email address will not be published.