নতুনরা স্মার্ট কার্ড কবে পাবে দেখুন – Smart Card Status Check

বর্তমানে প্রত্যেক নতুন নিবন্ধিত ভোটাররা স্মার্ট কার্ড পাবেন। এছাড়াও পুরাতন যারা ভোটার রয়েছেন তারা স্মার্ট কার্ড পেতে হলে দিতে হবে চোখের আইরিশ ও আঙ্গুলের ছাপ। আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন অর্থাৎ এখন পর্যন্ত স্মার্ট আইডি কার্ড হাতে না পেয়ে থাকেন তাহলে জেনে নিন কবে আপনার স্মার্ট কার্ড পাবেন।

২০১৬ সালে প্রথম স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করে নির্বাচন কমিশন। দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। এখন পর্যন্ত সাত কোটি স্মার্ট কার্ড ছাপানো হলেও দেশে পাঁচ কোটির মতো নাগরিকের হাতে এই কার্ড তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে ইসি। অর্ধেকের বেশি নাগরিক এখনও স্মার্ট আইডি কার্ড পায়নি। ২০২৫ সাল নাগাদ সব নাগরিককে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

বকেয়া ও চুক্তিসংক্রান্ত জটিলতায় স্মার্ট আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাপা বন্ধ ছিল। সর্বশেষ এপ্রিল ২০২২ সালে স্মার্ট কার্ড ছাপানো শুরু হয় এবং পরবর্তীতে এই স্মার্ট কার্ড নতুন ভোটারদের বিতরণ করা হবে।  সর্বশেষ ২০২২ সালে যারা নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন অনেককেই স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণ করা হয়েছে তবে সম্পূর্ণরূপে করা হয়নি।

আবার যারা পুরাতন ভোটার ছিলেন নির্বাচন কমিশনের নতুন উদ্যোগে প্রত্যেককে লেমিনেটিং ভোটার আইডি কার্ডের পরিবর্তে স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করা হবে কিন্তু তাদেরকে কবে নাগাদ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে এখন পর্যন্ত এই নিয়ে কোন নোটিশ জানায় নি নির্বাচন কমিশন।

তবে আপনি যদি স্মার্ট কার্ড প্রত্যাশী হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই আপনি যাচাই করে নিতে পারবেন যে আপনার স্মার্ট কার্ড কবে বিতরণ হবে এবং আপনার Smart NID কার্ডটি তৈরি হয়েছে কিনা।

দুইটি পদ্ধতিতে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস যাচাই করতে পারবেন

  • অনলাইনের মাধ্যমে
  • এসএমএসের মাধ্যমে

অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস জানার উপায়

সর্বপ্রথম আপনাকে ভিজিট করতে হবে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/card-status/ ওয়েব পেইজে। এই পেইজে থাকা দুইটি বক্স এর প্রথমে আপনার ভোটার স্লিপের নম্বর অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার এবং পরবর্তীতে আপনার সঠিক জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা পূরণ করতে হবে।

ক্যাপচা পূরণ করে নিচে একটি সাবমিট বাটন দেখতে পাবেন এটি ক্লিক করলে আপনার স্মার্ট কার্ড বিতরণের তথ্য জানতে পারবেন। এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে খুব জেনে নিতে পারবেন আপনার স্মার্ট কার্ডটি তৈরি হয়েছে কিনা কিংবা কোন প্রসেসিং এ আছে।

এসএমএসের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস জানার উপায়

এসএমএস করে স্মার্ট কার্ড বিতরণের তথ্য জানতে পারবেন দুটি ফরমেট এর মাধ্যমে। অর্থাৎ আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন এবং এখন পর্যন্ত এনআইডি কার্ড হাতে না পেয়ে থাকেন তাহলে এসএমএস ফরমেট একটি এবং আপনি যদি এনআইডি নাম্বার জেনে থাকেন তাহলে এনআইডি নাম্বার দিয়ে কার্ড বিতরণের তথ্য জানতে পারবেন অন্য একটি এসএমএস ফরমেট এর মাধ্যমে।

ফরম নাম্বার দিয়ে এসএমএসের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড বিতরণের তথ্য

প্রথমে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন SC <space>F<space>Slip Number<space>D<space>Date of Birth(YYY-MM-DD) তারপর মেসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে 105 নাম্বারে।

উদাহরণ: SC F xxxxxxxxx D 01-01-1998 Send to 105

এন আই ডি নাম্বার দিয়ে এসএমএসের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড বিতরণের তথ্য

এটি করার জন্য আপনার মোবাইল মেসেজ দিয়ে টাইপ করুন SC<space>NID<space> ১৩ কিংবা ১৭ ডিজিটের এনআইডি নাম্বার , এবং পাঠিয়ে দিন 105 নম্বরে।

উদাহরণ SC NID 1972xxxxxxxxxxxxx Send To 105

উপরোক্ত দুটি এসএমএস ফরম্যাট ব্যবহার করে আপনি জেনে নিতে পারবেন আপনার স্মার্ট কার্ড বিতরণের তথ্য। এসএমএস করলেই ফিরতে এসএমএস এ বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। ওখানে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে আপনার স্মার্ট কার্ডটি তৈরি হয়েছে কিনা।

যদি দেখতে পান আপনার স্মার্ট কার্ড টি তৈরি হয়েছে তাহলে নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ডের সংগ্রহ করতে পারবেন।

যারা পুরাতন ভোটার অর্থাৎ যাদের এখন পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়নি এবং লিমিটিং ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে তারাও স্মার্ট কার্ড পাবেন তবে এই ক্ষেত্রে পুনরায় তাদেরকে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে অর্থাৎ চোখের আইরিশ এবং দশ আঙ্গুলের ছাপ ইত্যাদি। খুব শীঘ্রই এই কার্যক্রম শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।

Similar Posts

2 Comments

  1. আমি একজন প্রবাসী। প্রবাসে থাকার কারনে ভোটার লিস্ট এ নাম দেওয়া হয়ে উঠে না। নির্বাচন কমিশন কি আমরা যারা প্রবাসী তাদের জন্য। পাসপোর্ট এর মাধ্যমে এন আই ডি দেওয়ার জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। যদি তা না করেন লক্ষ লক্ষ প্রবাসী এন আই ডি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি

    1. আপনি চাইলে প্রবাসে থেকেও আপনার আইডি কার্ড নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এবং আবেদন করার সময় আবেদন ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে আপনি যে দেশে থাকেন সে দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসে এনআইডি অনু বিভাগের জমা দিতে হবে। এরপরে সেখান থেকে আপনি বায়োমেট্রিক তত্ত্ব প্রদান করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ এবং বাংলাদেশ থেকে এনআইডি বিভাগের লোকজন গিয়ে আপনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করবে এবং অনুমোদন প্রদান করবে। এরকম একটি নিয়ম বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের জন্য চালু করেছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত কয়েকটি মাত্র দেশে এই সুবিধাটি চালু হয়েছে। যেমন মালয়েশিয়া এবং কাতারে দূতাবাস থেকেও ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করতে পারবেন প্রবাসীরা। একই সাথে দূতাবাস থেকে তাদের ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। খুব শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেকটা দূতাবাসে এনআইডি সেবা চালু করবে আশা করা যায়,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *