বিকাশ থেকে ১০ হাজার টাকা লোন নিন
বিকাশ ব্যবহারকারীদের জন্য বিশাল সুখবর। এখন থেকে যে-কেউ বিকাশে ১০ হাজার টাকা লোন নিতে পারবেন কোন ধরনের ডকুমেন্টস বা জামানত ছাড়াই। চলুন জেনে নেই কিভাবে খুব সহজেই বিকাশ থেকে লোন নিবেন।
এই লোন নেয়ার জন্য আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। এবং উক্ত একাউন্টে নিয়মিত লেনদেন করতে হবে। এই সেবাটা মূলত বিকাশ তাদের নিয়মিত গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে। নিয়মিত বিকাশ গ্রাহক ব্যতীত অন্য কেউ এই সেবাটি নিতে পারবে না।
সিটি ব্যাংক কর্তৃক বিকাশের মাধ্যমে এই সেবাটি চালু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার লেনদেনের উপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা লোন প্রদান করবে, যা আগামী তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। চলুন বিকাশ লোন গ্রাহনের সম্পূর্ণ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই।
এই পোস্টের সার সংক্ষেপ
বিকাশ থেকে লোন নেয়ার নিয়ম
বিকাশ থেকে এই লোন সেবাটি গ্রহণের জন্য অবশ্যই আপনাকে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। এবং এই লোনের প্রসেসিং ফি মাত্র ০.৫৭৫%, এবং ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে। এই সেবাটি সরাসরি বিকাশ অ্যাপ এর “Loan” অপশন থেকে নিতে পারবেন।
লোন গ্রহনের জন্য প্রথমে বিকাশ অ্যাপসে প্রবেশ করে “Loan” অপশনে প্রবেশ করুন। এরপরে আপনার ব্যবহারযোগ্য লোন লিমিট দেখাবে। এখান থেকে আপনারা “লোন নিন” বাটনে ক্লিক করুন। তারপরে আপনাদের লোন পরিশোধের সময়সীমা দেখাবে।
সাধারণত বিকাশের এই ১০,০০০ টাকা লোন সার্ভিসটির সময়সীমা ৩ মাস হয়ে থাকে। এখান থেকে “এগিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন। তারপরে আপনাদের লোন সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য দেখাবে। লোনের সময়সীমা, চার্জ, লোন পরিষদের তারিখ, লোন প্রদানকৃত প্রতিষ্ঠান, ইন্টারেস্ট রেট, মোট পরিশোধযোগ্য এমাউন্ট ইত্যাদি।
এরপরে কত তারিখে, কত টাকা করে লোন পরিশোধ করতে হবে তা দেখাবে। তথ্যগুলো ভালোভাবে দেখে “এগিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে বিকাশ অ্যাপ থেকে আপনাকে কিছু শর্ত দেওয়া হবে, এগুলো ভালোভাবে পড়ে “সম্মতি দিন” বাটনে ক্লিক করুন।
পরের ধাপে আমাদের বিকাশ একাউন্ট এর পিন নাম্বার দিতে হবে। তার আগে উপরে আপনি কত টাকা লোন নিয়েছেন, ইন্টারেস্ট, মোট পরিশোধযোগ্য লোন, প্রাপ্ত অ্যামাউন্ট, ব্যাংক প্রসেসিং ফি দেখে নিবেন। সবকিছুতে সম্মতি থাকলে বিকাশের পিন নাম্বার দিয়ে পরবর্তী ধাপে যান।
এরপরে বিকাশের নিয়ম অনুযায়ী কিছু সময় ট্যাপ করে ধরতে হবে। কিছু সময়ের মধ্যে লোনের টাকা আপনার বিকাশ একাউন্টে চলে আসবে। বিকাশ থেকে আপনি সর্বনিম্ন ইন্টারেস্ট রেটে লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
দেখুনঃ নগদ থেকে লোন নেয়ার পদ্ধতি
বিকাশ থেকে লোন গ্রহনের সুবিধা
বিকাশ অ্যাপস থেকে লোন গ্রহণ করলে আমরা অনেক ধরনের সুবিধা পেতে পারি যেমনঃ
- লোন গ্রহণের জন্য কোন ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন নেই।
- লোনের ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রসেসিং ফি মাত্র ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট)
- একাউন্টের ব্যালেন্স থেকে অটো কিস্তি পরিশোধ সুবিধা।
- ৩ মাস মেয়াদী লোন।
- লোন গ্রহণের জন্য কোন জামানত প্রয়োজন নেই।
- দ্রুত লোনের টাকা বিকাশ একাউন্টে জমা হবে।
- নির্ধারিত সময়ের আগে লোন পরিশোধ করতে পারবেন।
- দেশের সবথেকে কম ইন্টারেস্ট রেটে লোন পাবেন।
বিকাশ লোন পরিশোধের নিয়মাবলি
লোন গ্রহনের পূর্বে লোন পরিশোধের সম্পূর্ণ নিয়মাবলী দেখতে পাবেন। মূলত বিকাশ লোন অটো মেথডে পরিশোধ হবে। তথা আপনার একাউন্টে ব্যালেন্স থাকলে নির্ধারিত তারিখে তারা আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে লোনের টাকা কেটে নিবে। তবে আপনি চাইলে লোনের নির্ধারিত মেয়াদের পূর্বে কিস্তির টাকা জমা দিতে পারবেন।
এতে লোনের ইন্টারেস্ট রেট কমে আসার সুবিধা পেতে পারেন। যদি নির্দিষ্ট তারিখে আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকে তাহলে লোনের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ২% বিলম্ব ফি যুক্ত করা হবে। এবং যদি কোন ব্যক্তি লোন নিয়ে বিকাশে অ্যাপ বন্ধ করে দেয় তথা লোন পরিশোধ না করে তাহলে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
যেহেতু বিকাশ একাউন্ট খোলা হয় ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, সেহেতু বিকাশ ও সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের একাউন্ট হোল্ডারকে খুঁজে বের করতে সমস্যা হবে না। কেননা বিকাশ একাউন্ট খোলার সময় আমাদের যাবতীয় তথ্য বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা থাকে।
বিকাশ ঋণের সুদের হার কত?
বিকাশ থেকে ঋণ গ্রহণ করলে মাত্র ৯% হারে সুদ প্রদান করতে হবে। নিয়মিত বিকাশ ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র এই লোন সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবে। সিটি ব্যাংক বিকাশের মাধ্যমে গ্রাহকদের এই সুবিধাটি প্রদান করে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি অনুযায়ী সিটি ব্যাংক বিকাশ থেকে ঋণ গ্রাহকদের লোনের উপর ভিত্তি করে মাত্র ৯% আরে ইন্টারেস্ট রেট চার্জ করে। এবং ব্যাংক প্রসেসিং ফ্রি মাত্র ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট) যা অন্যান্য লোন সার্ভিস গুলোর তুলনায় নগণ্য।
শেষ কথা
আশা করি বিকাশে ১০ হাজার টাকা লোন নেয়ার নিয়ম এবং লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বিকাশের এই সেবাটি শুধুমাত্র নিয়মিত বিকাশ গ্রাহকরা পাবে। লোন সুবিধাটি গ্রহণের জন্য অবশ্যই বিকাশ অ্যাপস ডাউনলোড করে অ্যাপস এর মাধ্যমে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে।