অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় ; আপনি হয়তো বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর নাম শুনেছেন এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্বন্ধে আপনার ধারণা আছে । আজকে আমরা আলোচনা করব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আপনি প্রতিমাসে লক্ষ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন । আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করে নিতে পারেন তাহলে আপনি ঘরে বসেই প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন
এই পোস্টের সার সংক্ষেপ
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইনে কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবা একটি নির্ধারিত প্ল্যাটফরমে প্রমোশন লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া এবং তার মাধ্যমে প্রাপ্ত কমিশন অর্জন করা।
ধরুন আপনি কোন একটি প্রোডাক্ট এর লিংক দিলেন এবং আপনার দেওয়া লিঙ্ক থেকে কিছু সংখ্যক লোক সেই প্রোডাক্ট বা পণ্যটি ক্রয় করল । তাহলে আপনি ওই প্রোডাক্ট বিক্রি লাভ থেকে কিছু টাকা মার্কেটর হিসেবে পাবেন । এফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি ইনকামের পদ্ধতি আপনার যদি কিছু সংখ্যক ফ্যানবেজ থাকে হলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ঘরে বসে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
এটি এমন একটি আয়ের মাধ্যম যার ধারা যেকোনো অনলাইন নিয়ে প্রোডাক্টগুলো ( যেগুলো অনলাইনে বিক্রি হয়) নিজের যে কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারের মাধ্যমে প্রমোট করে । কাস্টমাররা যখন আপনার দেয়া লিংক এর মাধ্যমে প্রোডাক্টটি ক্রয় করবেন তখন আপনাকে সেই প্রোডাক্টটি বিক্রি করানোর জন্য কিছু টাকা কমিশন দেওয়া হবে ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই আপনার একটি ব্লগ ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে । সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে আপনার বেশকিছু অনুসারী থাকতে হবে । এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত কোন অনলাইন মার্কেট এর পণ্যগুলোকে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া দ্বারা প্রমোশন করা আপনার দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে যেন কাস্টমাররা ওই পণ্যের অফিশিয়াল সাইট থেকে পণ্যটি কিনে তাহলে আপনি তাদের লাভের কিছু অংশ কমিশন হিসেবে পাবেন । তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ব্লক ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে । এবং আপনার অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
আপনি ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি হিসেবে ভিন্নভাবে কমিশনের পার্সেন্ট পেতে পারেন । এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করার জন্য প্রথমে আপনার একটি ব্লগ ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল কে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে আপনি ওই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন প্রোডাক্ট এর রিভিউ বা লিংক দিলে কিছু সংখ্যক লোক আপনার দেয়া লিংক থেকে ওই প্রোডাক্ট টি ক্রয় করে ।
গুরুত্বপূর্ণঃ অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২২
এফিলিয়েট মার্কেটিং কত টাকা ইনকাম করা যায়
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা নির্ধারিত না । বর্তমানে অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আছে যারা প্রতিমাসে কমিশন হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে । আপনি কত টাকা ইনকাম করবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে আপনার উপর –
আমি এখানে টাইটেলে ৩০ হাজার টাকা আয় করার হিসাব টা দেখিয়েছে কারণ আপনি যদি মোটামুটি ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোমোশন করতে পারেন তাহলে মিনিমাম হলেও মাসে৩০ হাজার+ টাকা ইনকাম করতে পারবেন
আপনি যদি যে কোম্পানির মার্কেটিং করবেন সেই কোম্পানির প্রডাক্ট আপনার লিঙ্ক এর মাধ্যমে যত বেশী প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারবেন আপনি ততবেশি কমিশন পাবেন । একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারলে আপনি ওই প্রোডাক্টের লাভের অংশ থেকে 10-20% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন । সেটা নির্ধারিত করা হবে নি কেমন প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন এবং সেই প্রোডাক্ট এর কোম্পানির উপর তারা একটি কমিশন সিলেক্ট করে দিবে আপনাকে ।
মনে করেন আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে আপনি সেই চ্যানেলে টেকনোলজি ফটোগ্রাফি ভিডিওগ্রাফি মোবাইল কম্পিউটার ইত্যাদি টপিকের ভিডিও আপলোড করেন । তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে যদি ভিডিওগ্রাফি মোবাইল বা কম্পিউটার ইত্যাদি যাবতীয় প্রোডাক্ট সম্বন্ধে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার দর্শকরা প্রোডাক্টগুলো দেশি ক্রয় করবে । এর কারণ হচ্ছে যেহেতু আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি টেকনোলজি এই সকল বিষয়ে তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের দর্শকরাও এই রিলেটেড । তাদের এই সকল প্রোডাক্ট গুলি প্রয়োজন হবে । আপনি যত বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি করিয়ে দিতে পারবেন আপনি ততবেশি কমিশন পাবেন । এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ও ইনকাম করতে পারবেন । আপনার ইনকাম নির্ভর করবে কয়েকটি বিষয়ের উপর
- প্রতিটি প্রোডাক্ট বিক্রিতে আপনাকে কত % কমিশন দেয়া হচ্ছে ।
- আপনি যে প্রোডাক্টটির মার্কেটিং করছেন সেই প্রোডাক্ট টির দাম কেমন ।
- যে প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করছেন বর্তমানে তার চাহিদা কেমন ।
- এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে মি কতটি প্রোডাক্ট বিক্রি করিয়েছেন ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য প্রথমে অবশ্যই আপনাকে ই-কমার্স প্লাটফর্মে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ সাইন আপ করতে হবে। সাইন আপ করার জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া রয়েছে যা প্রত্যেকটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম বহন করে। বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত জনপ্রিয় ই-কমার্স প্লাটফর্মে আফিলিয়েশন করতে পারবেন
- অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট
- দারাজ বাংলাদেশ
- বিডি শপ
- রবি টেন মিনিট স্কুল
- শপিফই
এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাইন আপ করার পড়ে আপনি যে সমস্ত প্রশ্ন বিক্রি করতে পারবেন বলে মনে হয় সে সমস্ত প্রোডাক্ট বাছাই করে সেগুলোর প্রমোশন লিংক কপি করুন এবং আপনার ব্যবহৃত প্লাটফরম যেমন ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে প্রমোশন করুন। আপনার টার্গেট সাইটগুলোতে যত বেশি মার্কেটিং করতে পারবেন আপনার এফিলিয়েট বিক্রয়ের পরিমাণ তত বেশি হবে এবং আপনার কমিশনের পরিমাণ বেশি হবে।
গুরুত্বপূর্ণঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় ২০২২
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
আমরা প্রথমেই আলোচনা করেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অবশ্যই আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগিং ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ ইত্যাদি তৈরী করে নিতে হবে । আপনি সেই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে কতটি প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারবেন সেই হিসাবে ইনকাম হবে ।
আপনি যে কোম্পানির মার্কেটিং করবেন সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলির লিংক আপনার ব্লগ ভিডিও এর মাধ্যমে দর্শকদের কাছে শেয়ার করে দর্শকদের সেই প্রোডাক্টটি ক্রয় করতে বলবেন ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার মত রাস্তা তৈরি করতে আপনার কিছুটা সময় লাগবে এবং ধৈর্য এর প্রয়োজন হবে । প্রথমে আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক পেজ কে দর্শক প্রিয় করে নিতে হবে । এফিলিয়েট মার্কেটিং এর খেলাটা বুঝতে আপনার প্রথম অবস্থায় কিছুটা সময় লাগবে ।
যদি আপনি সঠিকভাবে নিজেকে ওই জায়গায় এক্সপার্ট করে গড়ে নিতে পারেন তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অগণিত টাকা ইনকাম করতে পারবেন । সব সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনি যদি ইউটিউব এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি কোন ক্যাটাগরি আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যে ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড করেন সেই ক্যাটাগরিঃ জাতীয় প্রডাক্ট এর মার্কেটিং চেষ্টা করবেন এতে আপনার এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে ক্লিক করে চ্যানেলের দর্শকরা যত বেশি এই প্রোডাক্টটি ক্রয় করবে আপনি তত বেশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন ।
অনেক সুন্দর করে লিখেছেন
Really nice blog..