চুল ঘন করার উপায় ( সেরা ৭ টি )

চুল ঘন করার উপায় বা চুল বৃদ্ধি করার উপায় নিয়ে যারা চিন্তিত আছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে আপনার মাথার পাতলা চুল ঘন করবেন। চুল পড়ার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে আলোচনা করব এবং কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আপনার চুলগুলো ঘন এবং মজবুত হবে জানতে পারবেন।

চুল হলো নারী-পুরুষ উভয়েরই অলংকার স্বরূপ । বর্তমানের দিনদিন চুল পড়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । এটি বর্তমানে একটি বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে রূপ নিয়েছে । চুল মানুষের সৌন্দর্য কে  দ্বিগুণ ফুটিয়ে তোলে  যুগে যুগে শিল্পী ও কবিরা ঘন কালো চুলের প্রেমে পড়ে মহাকাব্য লিখেছেন এবং অনেক গান গেয়েছেন । চুল হয় মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক কিন্তু ঠিকমতন চুলের যত্ন না নেয়ার কারণে চুল পড়ে পাতলা হয়ে যেতে পারে  এছাড়াও বিভিন্ন কারণে চুল পাতলা হয়ে যায় । আজকে আমরা জানবো চুল কেন পাতলা হয়ে যায় এবং কিভাবে চুল ঘন করবো । 

আপনি ছেলে হোন বা মেয়ে হন সেটা কোন বিষয় নয় বরং আপনার যদি সুন্দর চুল না থাকে তাহলে সেটা বড় বিষয়।  যেহেতু চুল মানুষের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ করে সেতু চুলের যত্ন আপনারা অবশ্যই নেয়া উচিত।  আপনার অসম্ভব সুন্দর এবং সিল্কি চুল রয়েছে কিন্তু আপনার চুল আপনি ধরে রাখতে পারছেন না।  এর চাইতে দুর্ভাগ্য আর কি থাকতে পারে? আপনার চুল যদি দেখতে সুন্দর হয় তারা যদি নিয়মিত পড়তে থাকে তাহলে একটা সময় আপনার চুলের সৌন্দর্য সহ আপনার শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে।  পরিবেশ দূষণ,  খাদ্যাভ্যাস,  চুলের অযত্ন  এবং বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে চুল পড়ার জন্য।

যে সমস্ত কারণে চুল পড়ে আমাদের সেই সমস্ত কারণ এড়িয়ে চলা উচিত । আর তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আজকের পোস্ট সাজিয়েছি

চুল ঘন করার সহজ উপায়

মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক হলো তার মাথার চুল ।  কিন্তু যখন সে চুল  মাথা থেকে উঠে চুল পাতলা হয়ে যায় তখন এটা আমাদের কাছে খুব বাজে একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ।  আমাদের দেখতেও ভালো লাগে না ।  আমাদের চুল উঠে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে আমরা সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব  ।  জিন গত দিক থেকে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের চুল এক এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই । মেয়েদের সৌন্দর্য ফুটে উঠে লম্বা চুলে  তাই তারা চুল লম্বা রাখে ।  চুল লম্বা রাখার কারণে মেয়েদের চুল এর বেশি যত্ন নিতে হয় না হলে চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি । আজকে আমরা জানবো কিভাবে আমরা চুল ঘন করবো কিন্তু তার আগে আমাদের জেনে নেয়া উচিত আমাদের মাথার চুলগুলি কেন উঠে যাচ্ছে ।  আমরা যদি জানি কি কারনে আমাদের মাথার চুল গুলো উঠে যাচ্ছে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারব ।

চুল উঠে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার 

বর্তমানে চুল উঠে যাওয়া একটি বিকট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।  সঠিকভাবে চুলের যত্ন না নেয়ার কারণে চুলগুলো উঠে পাতলা হয়ে যাচ্ছে । এবং জেনেটিক কারণে চুল পড়ে যেতে পারে । চুল পড়ে যাওয়ার কিছু কারণ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো

অপ্রয়োজনীয় খাদ্য অভ্যাস

চুল উঠে যাওয়ার কারন গুলোর মধ্যে ও প্রয়োজনীয় খাদ্য অভ্যাস অন্যতম একটি কারণ । অতিরিক্ত মাত্রায় সুগার ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার  কারণে মাথার ত্বক তার পুষ্টি কমে যায় এবং সঠিকভাবে পুষ্টি উপাদান পারেনা এর ফলে আমাদের মাথার চুল গুলো উঠে যায় । আমাদের উচিত আমাদের খাদ্যাভ্যাসের দেখে নজর দেয়া এবং সব সময় সুসম ভিটামিন খাদ্য গ্রহণ করা । 

বংশগত কারণ

বংশগত কারণেও আমাদের চুল যেতে পারে ।  সাধারণত ছেলেদের মাথার চুল বংশগত কারণে উঠে যেতে পারে । কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে মেয়েদের মাঝেও এই একই সমস্যা  বংশগত কারণে মেয়েদের মাথার চুল উঠে পাতলা হয়ে যাচ্ছে ।  বর্তমানে চুল পড়ে যাওয়া একটি বিগ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন জেনারেশনের কাছে ।

ধূমপান

আমরা সকলেই এর সম্বন্ধে অবগত আছি যে ধূমপান আমাদের শরীরের ব্যাপক ধরনের ক্ষতি করে । ধূমপানের কারণে আমাদের চুলগুলো উঠে যেতে পারে এর কারণ হলো রক্তের মাধ্যমে চুলের পুষ্টি আসে প্রত্যেকটি চুলের গোড়ায় শুকনো একটি রক্তনালী থাকে ধূমপান করার ফলে রক্তনালী টি বন্ধ হয়ে যায় ।  এর ফলে আস্তে আস্তে আমাদের মাথার চুল গুলো ঝরে যায়  । তাই আমাদের ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে ।

রাসায়নিক জাতীয়  পদার্থ ব্যবহারের কারণে

বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহারের ফলে এদের মাথার চুল গুলো পড়ে যেতে পারে । এবং ডেট ওভার তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে আমাদের মাথার চুল উঠে যেতে পারে । বর্তমানে ছেলেরা তাদের চুলগুলো ঠিক রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্প্রে এবং জেল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার কিন্তু এগুলো আমাদের চুলের অনেক ক্ষতি করে ।  এগুলো ব্যবহারের ফলে আমাদের মাথার চুলগুলো প্রোটিন ভেঙে যেতে পারে  এবং ওই চুল গুলো পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা  বেড়ে যায় ।

অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে

আমরা অনেকেই আছি যারা আমাদের চুলগুলোকে সুস্থ  পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতিনিয়ত  সেম্পু ব্যবহার করে থাকি  কিন্তু এর ফলে আমাদের চুলের ব্যাপক ক্ষতি হয় চুলের প্রোটিন ভেঙে চুলগুলো উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো কারণে সাধারণত আমাদের চুলগুলো পরে পাতলা হয়ে যায় । আমাদের সব সময় চুল গুলো যত্ন নিতে হবে । এবং উপরে উল্লেখিত কাজগুলো থেকে নিজেদের দূরে থাকতে হবে কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে “একজন মানুষের সৌন্দর্য হল তার মাথার চুল” চুলের বেশি বেশি যত্ন নিতে হবে ।  এখন আমরা জানবো কিভাবে আমাদের মাথার চুল ঘন করবো ।  

চুল ঘন করার উপায়

আমরা ইতিমধ্যে জেনে এসেছি আমাদের চুলগুলো কেন পাতলা হয়ে যায় ।  এখন আমরা জানবো কিভাবে আমরা আমাদের মাথার চুল ঘন করার উপায় সম্পর্কে । ঘন ও রেশমি চুল নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক  কবিরা  ও লেখকরা অনেক গল্প  ও উপন্যাস এর মাধ্যমে ঘন কালো চুলের প্রশংসা করেছে । এবং এই নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক রূপকথার গল্প । আমাদের নিজেদের স্মার্টনেস ফুটিয়ে তোলার জন্য ঘন এবং কালো চুলের কোন বিকল্প নেই । অনেকেই আপনাকে উপদেশ দিবে বা আপনাকে অনেক উপায় বলে দিবে যেমন ১ মাসে চুল ঘন করার উপায়। আসলে এক মাসে কোন কিছু সম্ভব নয় । নিয়মিত চুলের যত্ন করলে অনেকটা সময় নিয়ত চুল হবে শক্ত মজবুত এবং সিল্কি। চলুন জেনে নেই কিভাবে চুল ঘন করবো ।

সুষম ও ভিটামিন খাবার গ্রহণ

আমাদের চুলগুলোকে ঘন করা এবং সুস্থ রাখার জন্য সুষম ও ভিটামিন খাবার এর কোন বিকল্প নেই । বর্তমানে আমরা যে খাবার গুলো ব্যবহার করি সেইগুলো যথাযথ সুষম ও ভিটামিন না যার ফলে আমাদের চুল গুলো দিন দিন কমে যাচ্ছে  । আমরা কোন ধরনের খাবার খাচ্ছি সেদিকে অবশ্যই আমাদের খেয়াল করা উচিত ।  আমাদের চুলের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি । তাই চুল ঘন করার জন্য পরিপূর্ণভাবে ভিটামিন সি এবং ডি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে  । চুল ঘন ও কালো করার জন্য সুষম ভিটামিন খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন ।

তেল ব্যবহার ও নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখা

আমরা সকলেই জানি চুলকে সুরক্ষিত রাখতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে বা চুল ঘন করতে তেল এর ব্যবহার অপরিসীম । নারকেল তেলে  প্রচুর ভিটামিন ও  খনিজ  থাকে  যা চুলকে আরো পুষ্টি প্রদান করে ।  এবং নতুন চুল গজাতে চুল ঘন করতে সাহায্য করে । চুলকে সুস্থ-সবল রাখায় তেল ব্যবহার করতে হবে । তবে চুলের রাসায়নিক জাতীয় কোন পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না । দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ মানুষের চুল পড়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ হতে পারে  তাই আমাদের সবসময় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে হবে ।

ভিটামিন ই মেডিসিন

ভিটামিন ই জাতীয় বাজারে বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন পাওয়া যায় যেমন ই-ক্যাপ । নিয়মিত এই ওষুধগুলো খেলে আপনার চুল অনেকটা গজাতে সাহায্য করবে।  যেহেতু আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন মানুষের শরীরের লোম গজাতে অনেকটা সাহায্য করে। আর এই ওষুধগুলো আপনি যখন বাজার থেকে কিনবেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই ব্যবহার করবেন।

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার

ক্যাস্টর অয়েল মানুষের চুলগজাতে ভিশন সাহায্য করে। এরই সাথে এইটার নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুল হবে ঘন  শক্ত এবং মজবুত। আপনি যখন রাতে ঘুমাবেন তখন হাতে ক্যাস্টর অয়েল মেখে মাথার চুলে একদম গোড়া পর্যন্ত ম্যাসাজ  করুন।

আমলকি ব্যবহার

আমলকি হল এমন একটি ফল যেটা মানুষের শরীরের  বিভিন্ন ধরনের উপকার করে । আমলকিতে আছে এন্টি অক্সিডেন্টস  এবং ভিটামিন সি  যা আমাদের চুলের ঘনত্ব তৈরি করে এবং চুল কালো করে । 1 চা চামচ আমলকি গুঁড়ো এবং 1 চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিন এবং সম্ভব হলে এর সাথে সামান্য একটু টক দই মিশিয়ে নিন এবং এগুলোকে সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে নিন ।  এবং কিছু একটা দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন ।  দ্বিতীয় ধাপে ৩০-৪০  মিনিট পর চুলে শ্যাম্পু করে এবং কন্ডিশনার দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন ।  আপনি যদি এভাবে সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আশা করছি আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এর সাথে সাথে নতুন চুল গজাবে এবং চুল ঘন ও কাল হবে ।

এলোভেরা ও ঘৃতকুমারী ব্যবহার

ঘৃতকুমারী ও এলোভেরার সঠিক ব্যবহারের ফলে আমাদের চুলগুলো ঘন কালো করতে পারি ।  এলোভেরা এবং ঘৃতকুমারী আমাদের চুলের মৃত কোষ গুলোকে পুনরায় মেরামত করে এবং চুলের গোড়ায় ভিটামিন  বৃদ্ধি করে । চুল পড়া আটকায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে । অ্যালোভেরার পাতার ভিতরে জেল জাতীয় একটা পদার্থ থাকে একটি   চাকুর মাধ্যমে অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল জাতীয় পদার্থ থেকে বের করে নিন এবং সেটিকে মাথায় ভালোভাবে ঘষে লাগিয়ে নিন 10 থেকে 15 মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার মাথার চুল গুলো ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন ।  এভাবে করে যদি প্রতি সপ্তায় 2 থেকে 3 বার অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার চুল পড়া বন্ধ হয় চুল গুলো ঘন করবে । 

ডিমের ব্যবহার

ডিমের ভিতর প্রোটিন থাকে যা আমাদের মাথার চুল কে ভেতর থেকে অনেক মজবুত করে তোলে এর সাথে সাথে চুলকে আরো ঘন এবং কাল করে । প্রথমে আপনি একটি বাটিতে একটি ডিম ভেঙে সাথে 1 চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন । এবং এই উপাদানটি সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে মেখে 40 মিনিটের মতন সময় ধরে ঢেকে রাখুন ।  এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন ।  সপ্তাহে দুইবার এভাবে ব্যবহার করলে চুল ঘন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । 

সামনের চুল ঘন করার উপায়

আজকাল বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন সময়  হতাশাগ্রস্ত হয়ে যান কারণ তাদের সামনের চুল ফাঁকা হয়ে যায়। সামনের চুল ঘন করার উপায় নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। অনেকের সামনের চুল ভীষণভাবে উঠে যাচ্ছে । সামনের চুল ওঠার কারণে কপাল টা একদম পুরো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আরে অসুবিধাটা শুধুই যে মহিলারা ভোগ করছে এমনটা নয় বরং  পুরুষের সামনের চুলগুলো  বেশি পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এই কারণেই কপালটা খুব চওড়া লাগে। 

সামনের চুল বা যেখানেই হোক না কেন চুল ঘন করার জন্য অনেকে অনেক সময় মেডিকেল টিটমেন্ট গ্রহণ করে থাকে। যদিও মেডিকেল ট্রিটমেন্ট নেওয়া অনেকটা ব্যয়বহুল যা সবার জন্য সৌভাগ্যময় হয়ে ওঠে না। আর হেয়ার ট্রিটমেন্ট করলে ঠিকঠাক ভাবে সফল হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই। আমরা যদি কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করি তাহলে আমাদের সামনের চুলগুলো অনেক ঘন করতে পারি। 

যে উপায়গুলো আমি উপরে আলোচনা করেছি আপনিতো সেগুলো ব্যবহার করবেন।  ওই উপায়গুলোর একটি আপনার যেন বাদ না যায়। যদিও সবার জেনেটিক ডিজিজ একরকম না।  তাই সবার ক্ষেত্রে যে  স্বভাব উপায় গুলো কাজে দেবে এমন হয় না।  তবে আপনি উপরোক্ত চুল ভালো করার উপায়গুলো  প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.